ময়মনসিংহ বিভাগের অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেশ কিছু উপজেলায় আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করছেন এমন পাঁচ এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে আওয়ামীলীগ। ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করা মাঠ পর্যায়ের বেশ কিছু নেতা সাংগঠনিক শাস্তি পেয়েছেন। তাদের দল থেকে বহিস্কারও করা হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কেন্দ্র থেকে দফায় দফায় নির্দেশ দেওয়ার পরেও ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বেলায় নিশ্চুপ থেকেছেন। এ ক্ষেত্রে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ আলোচনার পুরোভাগে চলে এসেছে। তা ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিস্কার করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে কয়েকজন এমপি এক ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ফল বিপর্যয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের আশকারা দেওয়া এমপিদের ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দলের কয়েকজন এমপির বিরুদ্ধে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের স্পষ্ট অভিযোগ, ওই এমপিরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানিয়েছেন, তার বিভাগের ৩০ জন এমপির মধ্যে চার থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে কয়েকটি জেলার শীর্ষ পর্যায়ের দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। তার ভাষায়, তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকায় অনেক সময় অসংগতি থাকে। ফল বিপর্যয়ের এটিও একটি কারণ। তাই পঞ্চম ধাপের নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা বাছাইয়ের বেলায় নির্মোহ থাকতে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।