শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে মানুষ-হাতির দ্বন্দ্ব নিরসন ও হাতি সংরক্ষণে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“হাতি করলে সংরক্ষণ, রক্ষা হবে সবুজ বন” এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জের উদ্যোগে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের তাওয়াকোচা বিট অফিস প্রাঙ্গণে জনসচেতনতামূলক এ সভার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদের সভাপতিত্বেও অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শেরপুরের সহকারী বনসংরক্ষক আবু ইউসুফ, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোজাম্মেল হক, রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ সুমন মিয়া, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান, তাওয়াকোচা বিট কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “শেখ হাসিনার নির্দেশ জলবায়ু সহিঞ্চু বাংলাদেশ” বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২” অনুযায়ী হাতি হত্যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এরূপ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের কারাদন্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা। একই অপরাধ পূনরায় করলে সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা।
মানুষ-হাতির দ্বন্দ্ব নিরসন ও হাতি সংরক্ষণে সচেতনতামূলক এ আলোচনা সভায় হাতির সাথে সংঘাত এড়ানোর উপায় ও হাতির মুখোমুখি হলে করণীয় কি- তা তুলে ধরা হয়। বন্য প্রাণীর দ্বারা আক্রান্ত মানুষের জানমালের ক্ষতিপূরণ নীতিমালা, ২০১০” অনুযায়ী বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, ফসল, গাছপালা, গবাদিপশু, ঘরবাড়ি ইত্যাদি ক্ষতির জন্য সরকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে বলেও জানানো হয়।
সভায় সঞ্চালনায় দ্বায়িত্ব পালন করেন গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ।