ময়মনসিংহে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিএনপিপন্থী ৯ আইনজীবির জামিন বহাল রেখে ২ আইনজীবিকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন শুনানি শেষে এ্যাডভোকেট উছমান গণি মল্লিক (মাখন) ও এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন ওরফে বিডি তোফাজ্জলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জেলা বারের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল হকসহ বাকী ৯ আইনজীবীকে পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন।
মামলার তথ্যনুসারে, ময়মনসিংহে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মানহানিকর স্লোগান দেয়ায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য সচিব এডভোকেট মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ।
পরে ১৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবি। এদিকে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশনা মতে গত ১৬ নভেম্বর ছিল আত্মসমর্পনের পর জামিন শুনানির দিন। সেদিন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবিরা আত্মসমর্পনের পর জামিন আবেদন করলে আদালতকে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট জহুরুল হক খোকা নিজেদের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিএনপির ওই ১১ আইনজীবির জামিন আরও বৃদ্ধির কথা বলেন। পরে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির এমন সুপারিশে তখন আওয়ামীপন্থী আইনজীবিদের মধ্যে প্রচুর কানাঘুষা চলছিল।এমন ঘটনার পরই জেলা আইনজীবি সমিতির বেশ কয়েকজন আইনজীবি প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক খোকার বিরুদ্ধে নালিশি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে মামলার বাদী এ্যাডভোকেট মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, বিএনপিপন্থী ২ আইনজীবিকে জেলে পাঠানোর পাঠানোর আদেশ দিয়ে বাকী আইনজীবিদের জামিন বৃদ্ধি করেছেন।
মামলায় যুক্তি তর্ক ও শুনানীতে বাদী পক্ষে আদালতে শুনানীতে অংশ নেন পাবলিক প্রসিকিউটর কবীর উদ্দিন ভূইয়া ও বিবাদী পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আব্দুল গফুর।