বাংলাদেশে প্রতিবছর জিংকের অভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩৬ ভাগ শিশু এবং ৫৭ ভাগ মহিলা। একইসাথে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৪৪ ভাগ মেয়েরা জিংকের অভাবে খাটো হয়ে যাচ্ছে।
দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে জিংক সমৃদ্ধ ৯ ধরনের ধানের জাত উদ্ভাবন করা হযেছে। যা সম্প্রসারণে গুরুত্ব দিতে হবে।
মঙ্গলবার রংপুরের আরডিআরএস এর বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়ামে বেসরকারি সংস্থা হার্ভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের ‘ওয়ার্কশপ অন পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইনকলুসন অফ বায়োফরটিফাইড ক্রপ ইন নর্দার্ন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ম্যানেজার ড. মো: খায়রুল বাশারের সভাপতিত্বে এতে সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূঞা। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রোজেক্ট কোঅরডিনেটর মো: মজিবর রহমান। সিভিল সার্জনসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, পরমানু গবেষণা কেন্দ্র এবং জেলা মার্কেটিং বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় বলা হয়, পুষ্টির ঘাটতি পূরণে জিংক সমৃদ্ধ খাবার উৎপাদনের পাশাপাশি সরবরাহেরও ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য বায়োফরটিফাইড করে সহজে খাদ্যকে জিংক সমৃদ্ধ করা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য যেহেতু চাল। সে কারণে জিংকসম্মৃদ্ধ ৯টি ধানের জাত উদ্ভাবনের তথ্য তুলে ধরেন। উত্তরাঞ্চলে এর চাষ সম্প্রসারণ ও বাজারজাতকরণের বর্তমান চিত্র এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয় কর্মশালায়।