প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাই। ভ্যাকসিন তৈরির যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো আপনাদের সরিয়ে দিতে হবে, উন্মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের প্রাপ্য। জনগণের সম্পদ হিসেবে দিতে হবে।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বের কোনো মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে দূরে থাকতে না পারে। আমাদের সুযোগ দিলে আমরা উৎপাদন করব। আমরা বিশ্বে দিতে পারব, সে সক্ষমতা আমাদের আছে। (টিকা উৎপাদনের ল্যাব তৈরির জন্য) জমিও নিয়ে রেখেছি। এভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
সোমবার জাতীয় সংসদ ১৫তম অধিবেশনের এক সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সাম্প্রতিক সফরে দেওয়া বক্তৃতার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের যে সাফল্য, তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে— আমি এটাও বলে এসেছি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পুরস্কার চালু করায় জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা- ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে সংসদে একটি প্রস্তাব তোলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ।
এই প্রস্তাব ওঠানোর পর তা নিয়ে আলোচনা করেন সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। আলোচনা শেষে সংসদে সেটি সর্বস্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে জাতির পিতার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ আমাদের কিছু ইয়াং সংসদ সদস্য সকলে মিলেই কিন্তু ইয়াংবাংলা স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়েছে। এই প্রোগ্রামের জন্য আমরা বিশেষ বরাদ্দও রেখেছি। ছেলেমেয়েরা যদি কেউ উদ্যোগ নিতে চায় আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। অনলাইনে কেনাবেচা, ই-কমার্স, টেন্ডার- এগুলোতো (ইতোমধ্যে) হয়েছে বাংলাদেশে। সামনে আরও সময় আছে, আরও হবে। এক দিনেতো হয় না, ধাপে ধাপে করতে হয়।
বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার প্রবর্তন করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। উগান্ডার মোটিভ ক্রিয়েশনের মতো বাংলাদেশের যুব সমাজও এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, উগান্ডা আজ এই পুরস্কার পেয়েছে। একদিন ইনশাল্লাহ বাংলাদেশেরও কোনো না কোনো উদ্যোক্তা এই পুরস্কার পাবে বলে আমি আশা করি।