নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় শেরপুর জেলা সদরের কামারেরচর ইউনিয়নের ৬নম্বর চরে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের শেরপুর ও জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়েছে ৫টি ঘরবাড়ি।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের দুই মেম্বার প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও সিদ্দিক মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনার জের ধরে এলাকায় মসজিদের মাইকে মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়ানোর ঘোষণা দেয় দুই পক্ষের সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মেম্বার প্রার্থী সিদ্দিক মিয়ার সমর্থক জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম কে মুরাদুজ্জামানসহ ৪ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। অভিযান চালিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া বলেন, পাকুড়িয়া চকপাড়া এলাকার সহিংসতার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় অ্যাডভোকেট এম কে মুরাদুজ্জামান হ আরো কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে, কামারিয়া ইউনিয়নের ৬নম্বর চরের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।