৭২ ঘণ্টার পর ধর্ষণের মামলা না নেওয়ার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
আজ শুক্রবার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামালের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আদালতের এমন নির্দেশনায় আসক যারপরনাই বিস্মিত। আদালতের কাছ থেকে এমন বক্তব্য কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।’
এতে আরও আরও বলা হয়, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিদ্যমান আইনি ব্যবস্থায় কোনো অপরাধের ক্ষেত্রে মামলা গ্রহণের নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। অপরাধ সংঘটনের অনেক বছর পরও মামলা ও বিচারকাজ সম্পাদিত হওয়ার নজির রয়েছে। যেখানে নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা প্রতিরোধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার ওপর বারবার জোর দেওয়া হচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত বেশ কয়েকটি যুগান্তকারী নির্দেশনা প্রদান করেছেন, সেখানে এ মামলার ক্ষেত্রে আদালতের এমন পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা আমাদের হতাশ করেছে।’
সংবিধানের ১১১ ধারা অনুসারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধস্তন আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ মামলায় আদালতের এ ধরনের পর্যবেক্ষণ বিচারিক মনোভাব বহির্ভূত এবং প্রকৃতপক্ষে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। আসক মনে করে, আদালতের এ নির্দেশনাগুলো ভুল বার্তা দিচ্ছে, যা ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল ও জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে মামলা গ্রহণ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নানামুখী সংশয় ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। গণমাধ্যম সূত্রে আরও জানা গেছে, আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ডাক্তারি প্রতিবেদন না থাকলে মামলা যেন গ্রহণ করা না হয়। কিন্তু ধর্ষণের মামলায় ডাক্তারি প্রতিবেদনই একমাত্র এভিডেন্স না, আরও অন্যান্য এভিডেন্স থাকে যা বিচারকাজে সহায়ক হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, আদালতের এমন পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা প্রকৃতপক্ষে বিদ্যমান আইন ও বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’