প্রশ্নফাঁস: আহছানউল্লা’র কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাখ্যা তলব

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। একটি পরীক্ষায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রশ্নফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের সূত্রে ডিবি বলছে, ব্যাংকের পরপর চারটি নিয়োগ পরীক্ষায়ই প্রশ্নফাঁস করেছে চক্রটি। চক্রে জড়িত ও গ্রেফতারদের তিনজনই সরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা।

এদিকে, বারবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে আহছানউল্লা ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলোজিকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পাওয়ার পরই বাংলাদেশ ব্যাংক আইনি ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র এবং নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি আমরা গণমাধ্যম থেকে জেনেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে প্রশ্নফাঁস বা এ বিষয়ে আমরা আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটির কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছি। তাদের মতামত জানতে চেয়েছি।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতামতও নিতে হবে। এসব কৈয়ফত পাওয়ার পরই বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

গত ৬ নভেম্বর থেকে বুধবার (১০ নভেম্বর) পর্যন্ত ডিবি তেজগাঁও বিভাগের জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এ অভিযানে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ওয়াহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় তেজগাঁও জোনাল টিম লিডার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. শাহদাত হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

গ্রেফতাররা হলেন—প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলহোতা আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যায়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামান রয়েল (২৬), জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল (৩৪), রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন (৩০), পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন (৩৮) ও নিয়োগপ্রার্থী স্বপন।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুষ্ঠিত পাঁচটি ব্যাংকের এক হাজার ৫১১টি অফিসার (ক্যাশ) শূন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষা গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে সোনালী ব্যাংকে ১৮৩টি, জনতা ব্যাংকে ৫১৬টি, অগ্রণী ব্যাংকে ৫০০টি, রূপালী ব্যাংকে পাঁচটি এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে সাতটি পদ রয়েছে।

বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পুরো পরীক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়ায় দায়িত্বে ছিল আহছাউল্লা ইউনির্ভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলোজি।

Share this post

scroll to top