বিশ্বকাপের মূলপর্বে টাইগাররা পাঁচ ম্যাচ হেরে রীতিমতো হোয়াইটওয়াশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। দলের এমন হারের রেশ এখনো সাবেক ক্রিকেটার থেকে দর্শক-ভক্ত, বোদ্ধাদের কথায় রয়ে গেছে।
ক্রিকেট বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন- বিশ্বকাপ চলাকালীন বোর্ড-ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্বের কারণেই ব্যাকফুটে চলে যাওয়া বাংলাদেশ আর খেলায় ফিরতে পারেনি।
মঙ্গলবার জাতীয় দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা পরপর দুইটি টুইট করেন। প্রথম দুইটে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের অনেক কিছু করার আছে। কাজ করতে ৯শ কোটি টাকার প্রয়োজন নাই, ১০ কোটি টাকা দিয়েও অনেক কিছু করা সম্ভব যদি আপনার সদিচ্ছা থাকে।
দ্বিতীয় টুইটে ম্যাশ বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখেন, আমি ফুল অথরিটি নিয়ে কাজ করতে চাই। এমন কাজ আমি করবো না, যেখানে আমাকে প্রতিনিয়ত ডিষ্টার্ব করা হবে। যেমন আপনারা বলেন, এখন নির্বাচক প্যানেল স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তাহলে সেই কাজ করার চেয়ে তো, না করার ভালো।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান সপ্তম আসরে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। অথচ বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে যায় টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় ক্রিকেটারদের রীতিমতো ধুয়ে দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার সেই সমালোচনা ভালোভাবে নেননি ক্রিকেটাররা।
বাছাই পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচ তথা ওমানের বিপক্ষে জয়ের পর সমালোচকদের আয়নায় নিজের চেহারা দেখার অনুরোধ করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।
২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্বে থাকা রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, হারের দায় সবার। শুধু কোচকে দায়ী করলে চলবে না। আগামী দিনে কোচ থাকবেন কিনা সেটা বোর্ড ঠিক করবে।