উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ব্যাংকক গেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এদিকে রওশন এরশাদ মারা গেছেন এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে যা এক ধরণের গুজব। তবে রওশন এরশাদের মৃত্যুর খবরটি যাছাই বাচাই না করে অনেকেই প্রচার করেছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি (এইচএস-ইএমজি)। তিনি ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন।
ছেলে রাহুগির আল মাহি এরশাদ এমপি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে তার মায়ের দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
গত ১৪ আগস্ট রওশন এরশাদের ফুসফুসে জটিলতা দেখা দেয়। পরে তার অক্সিজেন লেভেল কমতে শুরু করলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন বেশ কিছুদিন তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়। হাসপাতালে থাকাকালেই গত ২০ অক্টোবর আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্বিতীয় দফায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন এই রাজনীতিবিদ।
অপরদিকে ২৮ অক্টোবর বেগম রওশন এরশাদের রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেগম রওশন এরশাদ সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছেন। তার ব্লাড প্রেসার ও হার্টবিট ভালো আছে, কিন্তু নিস্তেজ অবস্থায় আছেন তিনি। চিকিৎসকরা ইতিবাচক মতামত দিলে তাকে বিদেশে নেওয়া হবে। চিকিৎসকরা বলেছেন, বেগম রওশন এরশাদ মূলত বাধ্যর্ক্যজনিত রোগে ভুগছেন।
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও ময়শনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ জানান, “আমরা জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতা কর্মী, ময়মনসিংহ বাসী, তথা দেশবাসীর কাছে এই মমতাময়ী মা য়ের জন্য দোয়া চাই।”