আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কৌশলের দিক থেকে বিচার করলে শেন ওয়ার্নের মতে সেরা অধিনায়ক কে? ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির প্রশংসা করলেও ক্যাপ্টেন কোহলিকে কৌশলী অধিনায়ক বলতে নারাজ অজি কিংবদন্তি। এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে সাক্ষাত্কারে ওয়ার্ন জানান, বিরাট দলের সেরা নেতা হতে পারেন, কিন্তু কৌশলের বিচারে সেরা নিউ জিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন এবং অস্ট্রেলিয়ার টিম পেইন।
শেন ওয়ার্নের মতে, ক্যাপ্টেন্সি, ট্যাকটিস ও লিডার অব দ্য টিম – প্রত্যেকের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই বিচারে বিরাট কোহলিকে দলের সেরা নেতা হিসেবেই বেছে নিযেছেন ওয়ার্ন। অজি কিংবদন্তি জানান, “এই মুহূর্তে ও (পড়ুন বিরাট কোহলি) বেস্ট লিডার অব দ্য টিম।ক্যাপ্টেন্সি, ট্যাকটিস আর লিডার অব দ্য টিম -এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমি বিরাট কোহলির বড় ভক্ত। ও বড় ক্রিকেটার।সে দলকেও ভালোভাবে নেতৃত্ব দেয়। কৌশলের দিক থেকে ওকে আলাদা করা খুব কঠিন। আমার মনে হয় টিম পেইন আর নিউ জিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন দুজনেই কৌশলগত ভাবে বেশ ভাল। সুতরাং সেরা অধিনায়ক কে এটা বলা খুব কঠিন। তবে এই মুহূর্তে নিঃসন্দেহে বেস্ট লিডার অব মেন বিরাট কোহলিই।”
তীরে এসে তরী ডুবল
প্রায় তীরে এসে তরী ডোবার গল্প আর কী!
তবে, মোদ্দা কথাটা হল, ভারত পারল না। সিরিজ হারতে হলো ১–২ ব্যবধানে। জেতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেও হার স্বীকার করতে হলো। শেষ ২ বলে বাকি ছিল ১৩ রান। তখনই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। শেষ বলে দীনেশ কার্তিক ওভার বাউন্ডারি মারলেন বটে সাউদিকে, তাতে দলের রান সংখ্যা বৃদ্ধি হলো বটে, ফলাফলে কোনো হেরফের ঘটল না। ভারত হারল ৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ায় চমকপ্রদ টেস্ট সিরিজ জয়ের পর নিউজিল্যান্ডে উড়ে গিয়ে একদিনের সিরিজ জেতার পর, মার্টিন ক্রো–র দেশে প্রথম টি–টোয়েন্টি ম্যাচ জেতার কারণে আনন্দে টগবগ করে ফুটতে থাকা রোহিত শর্মার ভারত, দেশে ফিরে আসার শেষ পর্বে হঠাৎই এই পরাজয়ে গেল চুপসে।
ভালো খেলেও পরাজয়ের আরো একটি উদাহরণ। স্কোরের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে, ভারত কিন্তু লড়াই চালিয়ে গেছে শেষ বল পর্যন্ত। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলো। হ্যামিলটনের ছোট আকৃতির মাঠে দু’দলের ব্যাটসম্যানরাই চার–ছয় মেরেছেন প্রচুর। তবু, ৪ রানের ব্যবধান! আলগা ফিল্ডিং, গোটা তিনেক সহজ ক্যাচ গলানো সত্ত্বেও রোহিতরা জয়ের চৌকাঠের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পেরেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে যিনি গত মরশুমে শ্রীলঙ্কায় নিধাহাস ট্রফি জেতানোর নায়ক দীনেশ কার্তিক ছিলেন ক্রিজে। ৪ বলে ১৪, এই পরিস্থিতিতে দীনেশ একটি খুচরো রান নিতে পারতেন সহজেই, নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা ক্রুনাল পান্ডিয়া রান নেয়ার জন্য এগিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু দীনেশ তাকে ফিরিয়ে দেন এ কথা বলে যে, পরবর্তী ৩ বলে তিনি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বাকি রান তুলে ফেলবেন। দিনটা দীনেশের ছিল না। ১৮ নম্বর ওভারে যিনি ১৮ রান দিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন, সেই সাউদি কোনো রকমে ১২ রান দিয়ে ভারতকে পরাজয়ের দিকে ঠেলে নিয়ে গেলেন।