নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী উপজেলা আ.লীগ সভাপতি!

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল দলীয় প্রতীক না পেয়ে এবার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। সোমবার তিনি গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জানা যায়, ২০১৬ সালে গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ইমদাদুর রহমান মুকুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ সময়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের ২২৯ জনের ভুয়া নাম ব্যবহার করে চাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তালিকায় একাধিকবার একই ব্যক্তির নাম যেমন ছিল তেমনি ভুয়া নামেরও ছড়াছড়ি ছিল।

শুধু তাই নয়, যে গ্রামে হিন্দু পরিবারই নেই সে গ্রামের তালিকায় ছিল অনেক হিন্দু উপকারভোগীর নাম। এমনকি সরকারি চাল হজম করতে তালিকায় মৃত ব্যক্তিসহ একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানকে দেখানো হয়েছে ভিন্ন ধর্মের।

এমনই অস্বাভাবিক ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারের পর শুরু হয় তদন্ত। এতে বেড়িয়ে আসে এমন অনিয়মের চিত্র। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গেল বছরের গত ৭ জুলাই গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ইমদাদুর রহমান মুকুলকে বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের একটি গ্রামের নিরীহ কয়েকটি পরিবারের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে পুড়ানোর প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ৪ মাস কারাভোগ করেন চেয়ারম্যান মুকুল।

বিদ্রোহী প্রার্থী নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল বলেন, আমি বিদ্রোহী নই, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছি।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে অনেক লোকজন আছেন। আমি বিগত ৫ বছর এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছি। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তা মেনে নেব বলেও তিনি জানিয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, আমি শুনেছি তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে যেহেতু তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, সেহেতু কেন্দ্র তার বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত দেবে তা আমরা বাস্তবায়ন করব।

Share this post

scroll to top