টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে দ্বিতীয় ম্যাচেও মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতের ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচে শাহিন-হারিসদের বোলিং ভারতীয় ব্যাটারদের কাছে অচেনা বলেই সে ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন কোহলিরা— এমনটিই বলা হচ্ছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বেলায়ও কি একই অজুহাত চলবে?
সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ ম্যাচে যে ৯ জন ব্যাট করেছেন তাদের মধ্যে মাত্র দুজন (হার্দিক ও জাদেজা) ২০ রানের বেশি করতে পেরেছেন।
যে কারণে মাত্র ১১১ রানের মামুলি লক্ষ্য দিতে পারে ভারত, যা ৩৩ বল বাকি থাকতেই পূরণ করে ফেলেন কিউইরা।
বিশ্বকাপে এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগেরটি ২০১৬ সালের। সেটিও এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই।
এদিকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের ৮ উইকেটে পরাজয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে।
ম্যাচ বিশ্লেষণ করে ভারত দলের তারকা খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করেছে কলকাতার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন।
বিরাট কোহলি: ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে এক ধাপ নামিয়ে এনেছিলেন। তাতে ক্ষতি হয়েছে। ১৭ বল খেলে ৯ রান করেন। স্ট্রাইক রেট ৫২.৯৪।
লোকেশ রাহুল: ওপেন করতে নেমে ১৬ বলে ১৮ রান করেন। দ্রুত আউট হয়ে গেলেও বল নষ্ট করেননি। তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন।
ঈশান কিষান: সূর্যকুমারের জায়গায় দলে নিয়ে ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল। আট বলে ৪ রান করেন তিনি।
রোহিত শর্মা: আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও প্রথম বলেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন রোহিত। ক্যাচ পড়ে যায়। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ১৪ বলে ১৪ রান করেন। একটি ছক্কা মারেন অবশ্য।
ঋষভ পন্থ: ১২ রান করতে ১৯ বল নেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ৬৩.১৫। নিজের জাত চেনাতে ব্যর্থ তিনি।
হার্দিক পান্ডিয়া: ২৪ বলে ২৩ রান। ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এর পরও হার্ডহিটারের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন বিশ্লেষকরা।
রবিন্দ্র জাদেজা: ভারতীয়দের মধ্যে সব থেকে বেশি বাউন্ডারি মেরেছেন। সর্বোচ্চ রানও তারই, ১৯ বলে ২৬। বল হাতে দুই ওভারে ২৩ রান দেন। মূল্যায়নে সবার চেয়ে এগিয়ে তিনি।
শার্দূল ঠাকুর: ভুবনেশ্বর কুমারের জায়গায় দলে এসেছিলেন। প্রথম ওভারেই ১৪ রান দেন। যে বিষয়টি কিউইদের লক্ষ্য পূরণে গতি এনে দেয়।
মোহাম্মদ শামি: এক ওভারের বেশি বল দেওয়া যায়নি তার হাতে। ১১ রান দেন তিনি। গত ম্যাচের মতো এ ম্যাচে বোলিংয়ে ব্যর্থ তিনি।
জাসপ্রিত বুমরা: সবার চেয়ে ভালো বল করেছেন বুমরা। তিন ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে গাপটিলের উইকেট তুলে নেন। দুটি উইকেট নেন বুমরা।
বরুণ চক্রবর্তী: চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি। এ ম্যাচেও ধরাশায়ী তিনি।