মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরি ও যান উদ্ধারের কাজ আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে।
বৃহস্পতিকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মীরা।
এর আগে বুধবার রাত সোয়া ৮টায় অভিযান স্থগিতের আগ পর্যন্ত ডুবে যাওয়া মোট ১০টি ট্রাক ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) দেলোয়ার হোসেন।
এর আগে বুধবার সকালে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ১৪টি ট্রাক ও ১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে রো রো ফেরি আমানত শাহ ডুবে যায়।
দৌলতদিয়া থেকে আসার পর পাটুরিয়া ৫নং ঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো যাত্রী বা পরিবহণ শ্রমিক নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করে।
এ ঘটনায় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সুলতান আব্দুল হামিদকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফেরির যাত্রী আবদুর রাজ্জাক জানান, ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহে পানি উঠতে শুরু করে মাঝ নদী থেকেই। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়াঘাট থেকে ফেরিটি যখন মাঝ নদীতে পৌঁছায়, তখনই সামনের দিকে ডান পাশে থাকা একটি ছিদ্র দিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে ফেরির ভেতর পানি জমে যায়। এ সময় পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ ১৭টি গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ছিল ফেরিতে।
উল্লেখ্য, ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহ ১৯৭৯ সালে আরিচা ফেরি সেক্টরে যোগ হয়। ফেরির মাস্টার শরিফুল ইসলাম লিটন জানান, চার মাস আগে ফেরিটি নারায়ণগঞ্জ থেকে ভারি মেরামত শেষে পাটুরিয়া সার্ভিসে আসে। তবে সম্প্রতি ফেরিটির তলদেশে একটি ফুটো হয়। সেটি মেরামত করার কথা ছিল। সেই ফুটো দিয়েই ফেরির ভেতরে পানি প্রবেশ করে বলে দাবি ট্রাকচালকদের।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম (মেরিন) আব্দুস সাত্তার জানান, ফেরিটি দীর্ঘদিন ধরে ফিটনেসবিহীনভাবে চলছিল। এ বিষয়ে নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।