ময়মনসিংহে মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলার তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের ময়মনসিংহ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
কোতোয়ালি ও ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জান যায়, ঈশ্বরগঞ্জ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধের সময় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি করেছে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি ইউনিয়নের ইটাউলিয়া গ্রামের সমশের আলীর ছেলে তারা মিয়া (৭০)। এবং কালিয়ান গ্রামের মেফর আলীর ছেলে মো. রুস্তম আলী (৮১)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আঠারবাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
অপরদিকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান (৭২) নামে একজনকে নগরীর এবিগুহ রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী বাজারের বাসিন্দা প্রয়াত হোসাইন আহম্মেদের ছেলে। তারা তিনজনই মুক্তিযোদ্ধের সময় এলাকাটিতে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন। তারা ছাড়াও মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে তারা মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কল্যানট্রাস্টের ভাতা ভোগ করছিলেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ ও ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদের মিয়া বলেন, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সংবাদ পাওয়ার পরই তারা অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে ৫৪ ধারায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।