ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ঘরের মেঝে খুঁড়ে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু (১৯)কে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের চৌকস দল। নানা আব্দুর রশিদকে হত্যার পর মরদেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখেন বলে দায় স্বীকার করেছে মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু। বাবু নিহত আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় মেয়ে বিনা আক্তার ও একই এলাকার জিয়াউর রহমানের ছেলে।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ড. মো. রাশেদ হোসাইনের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করলে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, মঞ্জুরুল ইসলাম বাবুকে অত্যন্ত আদর স্নেহ করে বড় করেন নানা আব্দুর রশিদ (৬৫)। আব্দুর রশিদ প্রায় ০১ বছর পূর্বে নাতি বাবুকে বিয়ে করিয়ে নাতি বৌ ঘরে তুলে আনেন। উপার্জনহীন নাতনিকে উপার্জনের তাগিদ দিলে বাবু ক্ষেপে গিয়ে তার নব-বধূকে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দিয়ে জমি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য নানা আব্দুর রশিদকে উল্টো চাপ প্রয়োগ করে। আব্দুর রশিদ জমি বিক্রি করে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।পরে বাবু ১০ অক্টোবর রাত৯টার দিকে রাতের খাওয়া শেষে আব্দুর রশিদ এর সাথে ঘুমিয়ে পরে। পূর্ব পরিকল্পনা মতে বাবু তার নানাকে হত্যার করার জন্য গভীর রাতে লোহার শাবল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা নানার মাথায় ও শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে। আব্দুর রশিদের নিথর দেহ পড়ে থাকলে বাবু মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে হত্যাকান্ডটি লোক চোখের আড়ালে নিতে ও নিজেকে হত্যার দায় হতে রক্ষা করতে লাশটি শাবল দিয়ে মাটি খুঁরে ঘরের মধ্যে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। রাত শেষ হলে আব্দুর রশিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ফাতেমা খাতুন নামে এক নারীর নিকট বিক্রি করে। এঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. আজগর আলী বাবুর দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে ঘটনাস্থল হইতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত শাবল ও মৃত আব্দুর রশিদ(৬৫) এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাতে নিহতের বড় মেয়ে বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শনিবার (১৬ অক্টোবর) মঞ্জুরুল ইসলাম বাবুকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।