২০২১ সালে বিশ্বের সেরা গবেষকদের তালিকায় মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান লাভ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৫০ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম-১ সব ধরনের ক্যাটাগরিতে বাকৃবিতে ১ম এবং দেশে ১৫ তম স্থান লাভ করেছেন।
এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স নামের আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং প্রতিষ্ঠান গত রোববার বিশ্বের ১৩ হাজার ৫৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত লক্ষাধিক বিজ্ঞানী ও গবেষকদের এই তালিকা প্রকাশ করে। র্যাংকিং করার ক্ষেত্রে বিশ্বের ৭ লাখ ৮হাজার ৪৮০ জন, এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৬২ জন, বাংলাদেশের এক হাজার ৭৯১ জন এবং বাকৃবির ৫০ জন বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চলতি বছরসহ গত ৫ বছরের কার্যক্রম আমলে নেওয়া হয়।
জানা যায়, বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম-১ ছাড়াও আরোও ৪৯ জন শিক্ষক-গবেষক এই র্যঅংকিং তালিকায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্থান লাভ করেছেন। এরা হলেন বাকৃবির ড. এম. জি. মোস্তফা আমনি, ড. মো. তাজউদ্দিন, ড. মো আক্তারুজ্জামান খান, ড. মো চয়ন কুমার সাহা, ড. মো রফিকুল ইসলাম-২, ড. আক্তারুজ্জামান খান, ড. আনিছুর রহমান, ড. মো. জুয়েল আলম, ড. মো রফিকুল ইসলাম, ড. মুক্তা খান, ড. মো রাশেদুল ইসলাম, ড. মো. জাহিরউদ্দিন, ড. আরিফুল ইসলাম,ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, ড. রমিজ উদ্দিন, ড. মো. আব্দুর রহমান সরকার, ড. জোর্য়াদ্দার ফারুক আহমদে, ড. মো আশরাফুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, ড. মোস্তফা আলি রেজা হোসাইন, ড. রমিজ উদ্দিন, ড. শাহজাহান, ড. গোলাম শাহী আলম, ড. শামসুল আলম, ড. আমানুল হক, ড. মশিউর রহমান, ড. তাহমিদ হোসাইন খান, ড. এম. এ. রহিম, ড. এস. এম. লুৎফুল কবির, ড. বাহানুর রহমান, ড. এস. এম. ই. রহমান, ড. ইমদাদুল হক চৌধুরী, ড. কাজী রফিক, ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ড. সালেহা খান, ড. তানভির রহমান, ড. মাহফুজা বেগম, ড. তাওহিদুল ইসলাম, ড. আব্দুল আলিম, ড. এস. ডি চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ মোশাররাফ উদ্দিন ভূঁইয়্যা, ড. এ. কে এম. আনিসুর রহমান, ড. এম. এ. হাশমি, ড. আলমগীর হোসনে, ড. মোখলেসুর রহমান, ড. এম. এ. মজিদ, ড. মো. আজহারুল হক, ড. শহদিুল হক এবং ড. কে. এইচ. এম. নাজমুল হোসেন নাজির। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত বাকৃবি সকল শিক্ষক-গবেষকই বাংলাদেশে প্রথম ১৫০ জনের মধ্যে অবস্থান করছেন।
শিক্ষকদের এ সাফল্যে বাকৃবি উপাচার্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ সাফল্য আমাদের বাকৃবি পরিবারের জন্য সত্যিই অনেক আনন্দের। এসকল গবেষকদের গবেষণার কারণেই আমরা এবছর বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় স্থান লাভ করতে সক্ষম হয়েছি। এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণায় আরোও অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে। এই গবেষকদের হাত ধরেই বাংলাদেশের কৃষি আরো সমৃদ্ধ হবে এবং অচিরেই আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।