লক্ষীপুরে স্কুল হেলথ কার্ড বিতরণ ও হেলথ স্ক্রিনিং কার্যক্রমের উদ্বোধন

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থী স্কুল হেলথ কার্ড পাবে। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ পাবেন। প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের শারিরীক অবস্থা যাচাই করা হবে। তাদের পুষ্টি ও শারীরিক সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য কার্ডে লিপিবদ্ধ করা হবে । শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে জেলার রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নে দক্ষিণ পশ্চিম চরসীতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০৪ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘স্কুল হেলথ কার্ড’ বিতরণ ও স্ক্রিনিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে এবং রামগতি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় হেলথ কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসাইন আকন্দ।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খাঁনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গাফফার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নূরই আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মেহের নিগার, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ, লক্ষীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল, চর বাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসীম প্রমুখ।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা ভালো রাখতে স্কুলে ক্ষুদে ডাক্তার ও কৃমি নাশক প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শিক্ষকরা আবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিম গঠন করে তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। তাদের মধ্যে থেকে ক্ষুদে ডাক্তার তৈরি হবে। তারাই তাদের সহপাঠীদের উচ্চতা, দৃষ্টিশক্তি ও ওজন মেপে তা হেলথ কার্ডে লিপিবদ্ধ করবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা কার্ডের রির্পোটের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে।
তারা জানান, হেলথ কার্ডের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উচ্চতা, ওজন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টিগত অবস্থা, শারীরিক সমস্যা, দৃষ্টি পরীক্ষা, রক্তশূন্যতা, পালস্ ও হার্টবিটসহ সামগ্রিক বিষয় উলে­খ থাকবে।

জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন আকন্দ বলেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্কুল ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম রয়েছে। আমরাও শুরু করেছি। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষার পাশাপাশি মানষিক ও শারীরিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে, সে জন্য এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে জেলার সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল হেলথ কার্ড বিতরণ করা হবে।

Share this post

scroll to top