জামালপুর শহরে ছানোয়ার হোসেন সবুজ নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লজ্জায় আগুনে নিজের হাত পুড়িয়েছেন ওই নারী।
শনিবার (৯ অক্টোবর) এ ঘটনার বিচার দাবিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।
অভিযুক্ত ছানোয়ার হোসেন সবুজ জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ১৩ নম্বর মেষ্টা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি শহরের শহীদ হারুন সড়কের ‘সবুজ একাডেমি’ নামের একটি প্রাইভেট স্কুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তিনি মেষ্টা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই নারী ছানোয়ার হোসেন সবুজের মালিকানাধীন সবুজ একাডেমির শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। তার দুই সন্তানও ওই স্কুলে পড়াশোনা করে। বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে স্কুল ছুটির পর ওই শিক্ষিকাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছানোয়ার হোসেন কুপ্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে ক্যাম্পাস ফাঁকা পেয়ে তিনি ওই নারীর শ্লীলতাহানি করেন। একপর্যায়ে দৌড়ে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন।
ভুক্তভোগীর স্বামী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বলেন, তিনি নিয়মিত তার স্ত্রীকে মোটরসাইকেলযোগে সবুজ একাডেমিতে আনা-নেওয়া করতেন। সুযোগ পেলেই ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছানোয়ার হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতেন। ঘটনার দিন তিনি পেশাগত ব্যস্ততায় স্ত্রীকে স্কুল থেকে আনতে যাননি। এ সুযোগে সবুজ স্কুল ছুটির পর জরুরি কাজের অজুহাতে তার স্ত্রীকে স্কুল কার্যালয়ে বসতে বলেন এবং অপকর্মের চেষ্টা চালান।
বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আগে দলীয় নেতাদের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ছানোয়ার হোসেন সবুজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি মেষ্টা ইউপি চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাকে হেয় করে এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ তানভীর আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ভিকটিম সনাতন ধর্মাবলম্বী। তিনি লজ্জায় ও ঘৃণায় তার হাত গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়িয়েছেন বলে শুনেছি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নান বলেন, লিখিত অভিযোগটি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর পাঠানো হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।