আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত কমপক্ষে ৫৫

আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশে একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে স্থানীয়রা জড়ো হলে শক্তিশালী বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, এতে কমপক্ষে ৫৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যাও কয়েক ডজন। ফলে নিহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানে থাকা জাতিসংঘের মিশন থেকে এ নিয়ে একটি টুইট করা হয়। এতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মসজিদের ভেতরে ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে বেশ কিছু মরদেহ পরে আছে। এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।  আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এটিই সবথেকে ভয়াবহ হামলা।

হামলার পর প্রাথমিকভাবে ২৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছিল তালেবান। তবে দ্রুতই সে সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে কুন্দুজ প্রাদেশিক হাসপাতালেই ৩৫ জনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন আহত আরো ৫০ জন। এছাড়া এমএসএফ হাসপাতালে ১৫ জনের মরদেহ নেয়া হয়েছে। সেখানেও অনেক আহতকে ভর্তি করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা একাধিক ছবিতে দেখা যায় কুন্দুজের একাংশে আকাশে কালো ধোয়া উড়ছে। আরেক ভিডিওতে দেখা গেছে, আতঙ্কিত শত শত মানুষ রাস্তা দিয়ে ছুটে পালাচ্ছেন। আমিনুল্লাহ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি বিস্ফোরনের শব্দ পেয়ে তার ভাইকে ফোন করেন। কিন্তু তার ভাই ফোন ধরছিলেন না। এরপর তিনি মসজিদের কাছে গিয়ে দেখেন তার ভাই আহত হয়েছেন। তাকে তখনই এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে যাওয়া হয়। আরেক শিক্ষক জানান, তার বাড়ির কাছেই বিস্ফোরণটি হয়েছে। এতে তার অনেক প্রতিবেশী প্রাণ হারিয়েছেন।

এ হামলার আগে কাবুলসহ সমগ্র আফগানিস্তানজুড়েই একাধিক ছোট বড় হামলা হয়েছে। সেসব হামলার দায় স্বীকার করেছে সুন্নি জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। তালেবান আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সক্ষম কিনা তা নিয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। সাম্প্রতিক এসব হামলা সেই সন্দেহকে আরো জোরদার করছে। তালেবান যদিও দাবি করছে, তারা ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

Share this post

scroll to top