আফগানিস্তানে থাকা জাতিসংঘের মিশন থেকে এ নিয়ে একটি টুইট করা হয়। এতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মসজিদের ভেতরে ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে বেশ কিছু মরদেহ পরে আছে। এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এটিই সবথেকে ভয়াবহ হামলা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা একাধিক ছবিতে দেখা যায় কুন্দুজের একাংশে আকাশে কালো ধোয়া উড়ছে। আরেক ভিডিওতে দেখা গেছে, আতঙ্কিত শত শত মানুষ রাস্তা দিয়ে ছুটে পালাচ্ছেন। আমিনুল্লাহ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি বিস্ফোরনের শব্দ পেয়ে তার ভাইকে ফোন করেন। কিন্তু তার ভাই ফোন ধরছিলেন না। এরপর তিনি মসজিদের কাছে গিয়ে দেখেন তার ভাই আহত হয়েছেন। তাকে তখনই এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে যাওয়া হয়। আরেক শিক্ষক জানান, তার বাড়ির কাছেই বিস্ফোরণটি হয়েছে। এতে তার অনেক প্রতিবেশী প্রাণ হারিয়েছেন।
এ হামলার আগে কাবুলসহ সমগ্র আফগানিস্তানজুড়েই একাধিক ছোট বড় হামলা হয়েছে। সেসব হামলার দায় স্বীকার করেছে সুন্নি জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। তালেবান আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সক্ষম কিনা তা নিয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। সাম্প্রতিক এসব হামলা সেই সন্দেহকে আরো জোরদার করছে। তালেবান যদিও দাবি করছে, তারা ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।