পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা আজ বুধবার। হিজরি সনের সফর মাসের ২৮ তারিখ আখেরি চাহার শোম্বা। সফর মাসের শেষ বুধবার মুসলিম বিশ্বে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ স্মারক দিবস হিসেবে পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা পালিত হয়।
এ উপলক্ষে বাদ জোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ সাহানে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন সাবেক পেশ ইমাম ও ওয়াপদা ওয়াকফ স্টেট কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা রফিক আহমেদ। সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোহাম্মদ আবদুল কাদের শেখ (উপসচিব)।
আখেরি চাহার শোম্বা মূলত আরবি ও ফার্সি পরিভাষা। আরবি শব্দ আখেরি অর্থ শেষ। চাহার শোম্বা ফার্সি যার অর্থ বুধবার। অর্থাৎ সফর মাসের শেষ বুধবারে মোহাম্মদ (সা.)-এর সাময়িক সুস্থতাকে স্মরণ করে মুসলমানরা যে ইবাদত করেন, তাই আখেরি চাহার শোম্বা।
২৩ হিজরির শুরুতে রাসূলুল্লাহ (স.) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, নামাজের ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না। ২৮ সফর বুধবার মহানবী (সা.) সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার। এই দিন কিছুটা সুস্থবোধ করায় রাসূলুল্লাহ (স.) গোসল করেন এবং শেষবারের মতো নামাজে ইমামতি করেন। মদিনাবাসী এই খবরে আনন্দ-খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন এবং দলে দলে এসে নবী (স.) কে একনজর দেখে গেলেন। সকলে তাদের সাধ্যমতো দান-সাদকা করলেন, শুকরিয়া নামাজ আদায় ও দোয়া করলেন।
নবীর রোগমুক্তিতে তার অনুসারীরা এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে, তাদের কেউ দাস মুক্ত করে দিলেন, কেউবা অর্থ বা উট দান করলেন; যেমন: আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ৫ হাজার দিরহাম, উমর (রা.) ৭ হাজার দিরহাম, ওসমান ১০ হাজার দিরহাম, আলী (রা) ৩ হাজার দিরহাম, আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) ১০০ উট দান করেন।
উল্লেখ্য, ২৯ সফর আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার মাত্র ১৫ দিন পর ১২ রবিউল আউয়াল ইহকাল ত্যাগ করেন মানবতার মুক্তিদূত হজরত মোহাম্মদ (সা.)।