নওগাঁর আত্রাইয়ে বাইসাইকেল চালিয়েই সংসার চালাচ্ছে বেশ কিছু মানুষ। জীবিকার তাগিদে বাইসাইকেলে করেই ইট, বালু, সিমেন্টসহ নানা ধরনের পণ্য টেনে অর্থ উপার্জন করছেন তারা।
আত্রাই নদীর তীরে তীরেই গড়ে উঠেছে আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের বান্দাইখাড়া বাজারটি। এর পাশেই গড়ে উঠেছে দুটি ইটভাটা। ভাটা দুটির ইটের প্রধান ক্রেতা আশপাশের গ্রামের মানুষজন।
কিন্তু গ্রামের ভেতরের অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা ও সরু হওয়ায় সেগুলো ভ্যান-রিকশা চলাচলের উপযোগী নয়। তাই বিভিন্ন পণ্য পরিবহনে ভরসা বাইসাইকেলই। এ বিষয়টিকে জীবিকা হিসেবে নিয়েছেন সেখানকার বেশ কয়েকজন মানুষ। সারা বছর বাইসাইকেলে নানা পণ্য পরিবহন করেই জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। তা দিয়েই চলে তাদের সংসার।
জানা যায়, এখানে বাইসাইকেল শ্রমিকদের সাতজনের একটি দল আছে। সাইকেলের মাঝখানে বিশেষ কায়দায় পাটের বস্তা ঝুলিয়ে ইট বহন করেন তারা। প্রতিটি সাইকেলে ৮০-৯০টি ইট নেয়া যায়। এ পরিমাণ ইটের ওজন প্রায় আট থেকে নয় মণ। রাস্তা বেশ উঁচু-নিচু হওয়ায় পেছনে একজনকে ঠেলতে হয়।
বাইসাইকেল শ্রমিক জাকির হোসেন জানান, তারা ভাটা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে ইট বহনের কাজ করেন। প্রতি হাজার ইট ভাটা থেকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে ১ হাজার টাকা নেন। তবে দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া কিছুটা কমবেশি হয়ে থাকে। প্রায় সারা বছরই তারা বাইসাইকেলে করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সাইকেলই তাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উৎস।
আরেক বাইসাইকেল-শ্রমিক ইনতাজ হোসেন, সুমন ও ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। তারা বলেন, ইটের মৌসুমে ইট বহনের কাজ করলেও অন্য সময়ে হাট-বাজারে ধান, সার ও সিমেন্টের বস্তা বহনের কাজ করেন তারা। এর আয় থেকেই চলে তাদের সংসার।
হাটকালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস শুকুর বলেন, বাইসাইকেল চালিয়ে যে পরিমাণ আয় হয়, তা দিয়ে একটি সংসার খুব ভালোভাবে চলে যায়। এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্য এ পেশায় নিয়োজিত আছে।