জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) ক্যাম্পাসে সচরাচর বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও প্রতিদিনই অসংখ্য বহিরাগত মানুষের যাতায়াত রয়েছে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঠিক দৃষ্টিপাতের অভাবে বহিরাগতদের আনাগোনা দিন দিন বাড়ছে৷ আর কারা এলাকার প্রভাব কাটিয়ে নানাভাবে হয়রানি করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে খেলার মাঠ সর্বত্রই বহিরাগতদের অবাধ চলাফেরা রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইভটিজিং, মাদক সেবন, চুরিসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে ইতিমধ্যে। অনেক শিক্ষার্থী বহিরাগতদের দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছেন।
বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশে বিভিন্ন পয়েন্টে সর্বদা লোকারণ্য হয়ে থাকে পরিবেশ। এছাড়াও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে উচ্চ গতিতে বহিরাগতদের মোটরসাইকেল চালনা লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এমন নিয়ন্ত্রনহীন চলাফেরায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে।
বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ও অবাধ কর্মকান্ড বন্ধে কি ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন ? -এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জল কুমার প্রধান বলেন , ‘বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিত ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ও অবাধ চলাফেরা নিয়ন্ত্রনে জাককানইবি প্রক্টরিয়াল বডি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে । প্রতিদিন রাতে দুজন করে সহকারী প্রক্টর এবং বাড়তি নিরাপত্তা প্রহরীদের টহলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে । কোথাও বহিরাগতদের সন্দেহজনক অবস্থান লক্ষ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নিচ্ছি ।’ পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বহিরাগত মুক্ত এবং নিরাপদ রাখতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করেন প্রক্টর।