ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসাইন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির ও তাম্মির মা সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে এ আবেদন করেন তাম্মির আগের স্বামী রাকিব হাসানের আইনজীবী ইশরাত হাসান। এ বিষয়ে বিচারক পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই প্রতিবেদনে নাসির ও তাম্মির বিয়ে আইন অনুযায়ী বৈধ হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স দেয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র জালজালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। নাসিরকে বিয়ের আগে রাকিবকে ডিভোর্স দেননি তামিমা। তাই নাসির-তামিমার বিয়ে আইনত অবৈধ।
এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে বাদী পক্ষ। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী দাবি করে রাকিব হাসান মামলাটি করেন।
মামলায় আগের বিয়ে গোপন রেখে অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়ায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানেন।
মামলায় আরও বলা হয়, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশু কন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরম মানহানি হয়েছে।