দাফনের ৮ মাস পর আদালতের নির্দেশে ইমরুল ইসলাম শেখ নামের এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে মদন থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের ইকরাটিয়া গ্রামের ওই ব্যবসায়ীর পারিবারিক কবরস্থান থেকে মৃতদেহটি উত্তোলন করা হয়।
নিহত ব্যবসায়ীর ছেলের দায়েরকৃত হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি উত্তোলন করে নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করেছেন। এ সময় আটপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মদন উপজেলার জাওলা গ্রামের হাবিবুর, হারেছ মিয়া ও আটপাড়া উপজেলার ইকরাটিয়া গ্রামের ইমরুল ইসলাম শেখ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ব্যবসা করে আসছিল।
প্রতিদিনের মতো ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বালু উত্তোলনের জন্য মদন উপজেলার জাওলা মরা নদীরপাড়ে যান ইমরুল ইসলাম শেখ। সেখানে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে ইমরুল ও তার পার্টনার জাওলা গ্রামের শামছু মিয়ার ছেলে আল আমিন, হারেছসহ ৪-৫ জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ওই দিন ইমরুল ইসলাম তার নিজ বাড়ির সামনে মারা গেলে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মৃতদেহটি ইকরাটিয়া গ্রামে দাফন করা হয়।
ঘটনার ৭ মাস পর ১৪ আগস্ট জাওলা বাজারের চায়ের দোকানে ইমরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে বলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে নিহতের ছেলে মাইনুল ইসলাম মান্না বাদী হয়ে জাওলা গ্রামের শামছু মিয়ার ছেলে আলামিনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালতের নির্দেশে ১২ সেপ্টেম্বর মদন থানায় একটি হত্যা মামলা রজু করা হয়। এ হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী ইমরুল ইসলামের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য আজ উত্তোলন করেন পুলিশ।
এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, আদালতের নির্দেশানুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার ইমরুল ইসলামের মৃতদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।