গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। বিএনপির হাইকমান্ড এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের ৬৪ জেলায় একটি আসনের একজন প্রার্থী আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই মামলা করবেন। এ ব্যাপারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া নেতাদের সাথে সরাসরি কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির নীতি নির্ধারকেরা দীর্ঘ আলোচনা পর্যালোচনার পর ৬৪ টি জেলায় যে কোনো একজন ধানের শীষের প্রার্থী মামলা করবেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ব্যালট ছিনতাই’, ‘ব্যালট বাক্স ছিনতাই’, বিরোধী প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টকে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা এবং গায়েবি মামলার দলিল সহ বিভিন্ন ইস্যু মামলায় প্রাধান্য পাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচনের পরপরই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বৃহত্তর মোর্চা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের কাছে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের দিন ও আগে-পরে সংঘটিত অনিয়ম, হামলা-মামলা, গ্রেফতার-হয়রানি, হতাহতের ঘটনাসহ ৮টি বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ছবি-অডিও-ভিডিওর সমন্বয়ে সিডিসহ কেন্দ্রীয় দফতরে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন ধানের শীষের প্রায় পৌনে দুইশ প্রার্থী। এখন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। প্রার্থীরা কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায় ছিলেন। এখন সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সারাদেশের ৬৪ জেলায় একজন করে মোট ৬৪ জন প্রার্থী মামলা করবেন।
এদিকে ধানের শীষের প্রার্থীদের সাথে সরাসরি কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্কাইপিতে সরাসরি কথা বলেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ব্যাপারে বৈঠক হয়।
বৈঠকে ধানের শীষের প্রায় অর্ধশত প্রার্থী পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এতে বেশ কয়েকটি জেলার ধানের শীষের প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র নেতা ও ধানের শীষের প্রার্থী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি, শরীফুল আলম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, জি কে গউছ, আজিজুল বারী হেলাল, লুৎফর রহমান কাজল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, হাজী মুজিব, শামা ওবায়েদ, মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদিন ফারুক, রফিকুল আলম মজনু, মাইনুল ইসলাম খান শান্ত, ডা. মো: আনোয়ারুল হক প্রমুখ অংশগ্রহণ।