পার্কে বেড়াতে আসা লোকজনকে আটকিয়ে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে বগুড়া সদর থানার দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে থানা থেকে তাদের প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
যে দুজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা হলেন, বগুড়া সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল্লাহ আল মোস্তফা ও কনস্টেবল (ড্রাইভার) মাহিদুর রহমান। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টার পরে এএসআই মোস্তফা ও কনস্টেবল মাহিদুর একটি মোটরসাইকেল যোগে সদর থানা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে মম ইন ইকো পার্কে যান। সাদা পোশাকের এই দুই পুলিশ সদস্য ওই পার্কে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে আসা লোকজনকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে হয়রানি করতে থাকেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা তিনজন আরোহীসহ একটি মোটরসাইকেল আটক করেন। পরে তাদের কাছে দুই হাজার টাকা দাবি করেন।
এ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীদের সঙ্গে দুই পুলিশের তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে অন্যান্য লোকজন দুই পুলিশ সদস্যকে ঘেরাও করে। খবর পেয়ে মম ইন ইকো পার্কের কর্মকর্তাগণ সেখানে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদের থানায় পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি ওই রাতেই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তাদের থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যাহার হওয়া এএসআই আব্দুল্লাহ আল মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা মোটরসাইকেল যোগে মম ইন ইকো পার্কের ভেতর দিয়ে পল্লীমঙ্গল এলাকায় যাচ্ছিলেন। পার্কের মধ্যে তিনজন আরোহীসহ একটি মোটরসাইকেলের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। এ সময় তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। তখন কিছু লোকজন গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে পরিচয় দেওয়া হলে তারা চলে যায় এবং মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ডিউটির বাইরে কাউকে না জানিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্য মম ইন পার্কে যায়। সেখান থেকে তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আসায় তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।