ময়মনসিংহের ফুলপুরে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি ওজনের ৮৪ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। উপজেলার সিংহেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারের মো. শহিদুল ইসলামের দোকান থেকে সোমবার সন্ধ্যায় এসব চাল জব্দ করা হয়।
শহিদুল ইসলাম উপজেলার সিংহেশ্বর (ভাটপাড়া) গ্রামের মৃত শামছুল হকের পুত্র। শহিদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার না হযেও এত চাল কোথায় পেয়েছে তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা যায, ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের সিংহেশ্বর বাজারের একটি দোকানে শহিদুল ইসলাম শহিদ (৩৫)সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন যোগসাজসে ১০ টাকা কেজি’র প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বেশ কিছু চাউলের বস্তা মজুদ করে রেখেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার, ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ওসি তদন্ত আব্দুল মোতালেবের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স এবং খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ সোমবার রাত পৌনে ৮ টায় সিংহেশ্বর বাজারে অভিযান চালায়। এসময় শহিদুল ইসলাম শহিদের দোকান ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৮৯ বস্তা সরকারি চাল দেখতে পেয়ে তা জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন। এর মাঝে ৩০ কেজির ৭৫ বস্তা ও ১৪ বস্তায় ১৭ কেজি করে চাল রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী রুনা আক্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার দোকান মালিক শহিদুল ইসলাম শহিদসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে ফুলপুর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১)/২৫-D ধারায় মামলা (নং ০৮) দায়ের করেছেন। দোকান মালিক কালোবাজারী শহিদ বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার চাল জব্দের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আড়াই টন চাল জব্দ করে থানায় রাখা হয়েছে। যার দোকান থেকে এসব চাল জব্দ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রাশেদ হাসান জানান, শহিদুল ইসলাম কোনো ডিলার নয়। তিনি দোকানদার হিসেবে কালোবাজারি করছিলেন।
ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।