সরকারবিরোধী আন্দোলনে স্থায়ী কমিটির সভায় বসছে বিএনপি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের ধারাবাহিক সভা ডেকেছে বিএনপি। গুলশান কার্যালয়ে আগামী মঙ্গলবার শুরু হবে এ সভা। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। সভা থেকে আগামী দিনের করণীয় চূড়ান্তে নেওয়া হবে নেতাদের মত। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গেও বৈঠক করবে বিএনপি। সবার মত নিয়ে চূড়ান্ত করা হবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা।

শনিবার অনুষ্ঠেয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাহী কমিটির সভা রাজধানীর কোনো হোটেল বা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে করার বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু বেশিরভাগ নেতা বলেন, সরকার তাতে অনুমতি দেবে না এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয়রানি করতে পারে। তাই একদিনে না করে কয়েকদিন ধরে এ সভা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ই নিরাপদ। পরে এ সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট নেতাদের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে বৈঠকের দিনক্ষণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসএমএসের মাধ্যমেও তাদের অবহিত করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দলের হাইকমান্ড তিন দিনব্যাপী ধারাবাহিক সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা নেতাদের সভার দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছি। প্রতিদিন বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ সভা হবে। প্রতি বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে সভাপতিত্ব করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা থাকবেন। তিনি বলেন, প্রথম দিন মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টারা, বুধবার নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব, যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক ও সহসম্পাদক এবং শেষদিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন। তবে নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সভায় ডাকা হয়নি। তাদের নিয়ে শিগগিরই বৈঠক করবেন তারেক রহমান।

প্রিন্স বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নানা কারণেই এ সভা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে অনেকে মত দেবেন। এছাড়া আমাদের মূল এজেন্ডা থাকবে নিরপেক্ষ সরকার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন আদায়ে আন্দোলন। সেই আন্দোলন কীভাবে কার্যকর রূপ নিতে পারে সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

বিএনপি নীতিনির্ধারকরা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ফের শুরু হয়েছে কর্মকাণ্ড। ক্ষমতাসীন দল তাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করেছেন। ভবিষ্যৎ আন্দোলন ও নির্বাচনী কৌশল চূড়ান্তে বিএনপিও এ সভার আয়োজন করছে।

Share this post

scroll to top