মায়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ৯ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোক্ষপুর ইউনিয়নে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলে। হত্যাকান্ডের পর পলাতক সেই অভিযুক্ত ছেলে আরিফ হোসেনকে (১১ সেপ্টেম্বর) শনিবার আটক করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
বুধবার সকালে সন্তানরা ঘুম থেকে উঠতে দেরি করায় আলী তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে স্ত্রী হালিমা তার প্রতিবাদ করে। হালিমাকে বেদম মারধর করে আলী হোসেন। এতে হালিমার কপাল ফেটে চৌচির হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। আরিফ ও তার এক চাচাত বোন, মাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা শেষে পুরান ভিটে দাদার বাড়িতে নিয়ে যায়।
সারাদিন নিজ বাড়ি ফেরেনি বলে সন্ধ্যার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে আবারও মারতে যান। জ্ঞানবুদ্ধি হবার পর থেকেই আরিফ দেখে আসছে অকারণেই প্রতিনিয়ত তার মায়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেন তার বদমেজাজী বাবা। কলেজ পড়ুয়া ওই ছেলেটি বাবাকে বহুবার বুঝিয়েও ব্যর্থ হয়। বুধবারও ওই একই ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি ঘটলে রাগে-ক্ষোভে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফ দা দিয়ে কুপিয়ে বাবা আলী হোসেন (৪৭) কে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় পরদিন সকালে নিহতের ভাই আবুল কাসেম বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের পর এলাকা থেকে থেকে গাঁ-ঢাকা দেয় আরিফ। নিহতের পরিবারের সদস্যদের দেয়া তথ্যে শনিবার সকালে পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে আটক করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, হত্যাকান্ডের পর পলাতক সেই অভিযুক্ত ছেলে আরিফ হোসেনকে শনিবার সকালে পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।