ভারতের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিজয় রুপানি।
শনিবার তিনি রাজ্যের রাজভবনে গভর্নর বা রাজ্যপাল আচার্য্য দেবব্রতের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি বিজেপি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিধানসভা নির্বাচনের বছরখানেক আগেই তিনি এ পদত্যাগ করায় বিজেপি শিবিরে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বিজয় রুপানি বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব পাল্টায়।’
তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব পালনের সময় আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে রাজ্যের উন্নয়নের সুযোগ পেয়েছি।
হঠাৎ কেন পদত্যাগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রুপানি বলেন, বিজেপির জন্য পরিবর্তন একটা স্বাভাবিক বিষয়।
তিনি বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব বদলায়। এবার দায়িত্ব যাবে অন্য কারও কাছে। আমাকে দল যে দায়িত্ব দেবে, তা পালন করব।’
আগামী বছর গুজরাটে বিধানসভার ভোট হওয়ার কথা।
পদত্যাগ দেওয়ার পরে রূপাণী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই বিজেপি গুজরাটে বিধানসভা ভোটে লড়বে।’
নরেন্দ্র মোদি এবং আনন্দীবেন পটেলের পরে ফের গুজরাতের এক বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষের আগেই সরতে হল। ২০১৪ সালে মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তার উত্তরসূরি মনোনীত হন আনন্দীবেন। কিন্তু ২০১৬ সালের আগস্টে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন রুপানি। তার নেতৃত্বেই ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।
পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপি নেতা আর সি ফালড়ু, সি আর পাটিল, বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপৌলা এবং মনসুখ মাণ্ডব্যর নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষের উপস্থিতিতে রোববার রাজধানী গাঁধীনগরে গুজরাট বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে। সেখানেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত হতে পারে।
রুপানির পদত্যাগ প্রসঙ্গে গুজরাটের কংগ্রেস নেতা হার্দিক পটেল বলেন, ‘করোনার ধাক্কার রাজ্যের অর্থনীতি ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও বিজেপি নেতৃত্ব গুজরাটের কথা না ভেবে রাজনৈতিক সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’