অবশেষে ঘুসের টাকা ফেরত দিলেন দেওয়ানগঞ্জ হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলাল মিয়া।
সরকারি ঘর দেওয়া, দাখিলা প্রদান, সরকারি জমি বরাদ্দসহ বিভিন্ন কথা বলে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলাল মিয়া স্থানীয় লোকজনদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুস আদায় করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ ইউনিয়নে কর্মরত।
ইতোমধ্যেই তাকে দেওয়ানগঞ্জ থেকে ইসলামপুর স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। বদলির এ সংবাদ হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ায় যে সমস্ত লোকজন কাজের জন্য ঘুস দিয়েছেন তারা ১ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে পরের দিন বিকাল পর্যন্ত আলাল উদ্দিনকে অফিসে অবরোধ করে রাখেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় লোকজনদের বুঝিয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আলালকে উদ্ধার করেন।
হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের আইজল হক জানান, আমি ১৪ হাজার টাকা ঘুস দিয়েছিলাম সব টাকাই ফেরত পেয়েছি।
আজাহার বলেন, আমি ১০ হাজার টাকা দিয়েছি, ১০ হাজার টাকাই ফেরত পেয়েছি।
রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, হাতীভাঙ্গা এলাকার ৪০ জনকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আলাল।
তিনি আরও বলেন, আসলে যারা ঘুস দিয়েছেন এবং ঘুস নিয়েছেন উভয়েই অপরাধী। এ বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।