বিয়ে করার তিন মিনিটের মাথায় নব দম্পতির মধ্যে তালাক হয়ে গেল। বিয়ে নিয়ে আত্মীয়-স্বজনরা যখন আনন্দ করতে শুরু করেছিলেন, তখনই ঘটলো এই অবাক করা ঘটনা। ঘটনাটি কুয়েতের। মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, কুয়েতের ইতিহাসের ক্ষুদ্রতম দাম্পত্য জীবন এটি, বিশ্বেরও হয়তো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ঘটনাটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাই বেশি করেছেন বর ও কনের। অনেকে বিষয়টি নিয়ে হাস্যরসও করছেন।
জানা গেছে, বর নববধূকে ‘বোকা’ বলার কারণে অনেকটা শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল তাদের দাম্পত্য জীবন। নববধূ তাতে এতটাই রেগে যান যে, সাথে সাথে তালাক দেন স্বামীকে।
ঘটনাটি ছিল- বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিলো তখন। কিন্তু পুরোটা শেষ হয়নি। তার আগেই কনে আসর ছেড়ে চলে যেতে চাইলে বর তাকে ‘স্টুডিপ’ বলেন। আর এতেই লাগে গণ্ডগোল। আসলে আকদ ও রেজিস্ট্রি শেষ হওয়ার পর কনে আর আদালতে থাকতে চাইছিলেন না। কিন্তু বর হয়তো চাইছিলেন ধীরে সুস্থ্যে বের হতে। নব পরিণীতা স্ত্রীকে অতটা তাড়াহুড়ো করতে দেখেই তাকে ‘বোকা’ বলে বসেন।
মুহূর্তে রেগে যান নববধূ। তাৎক্ষণিকভাবে বিচারককে বলে বিয়ে ভেঙে দিতে। এতটাই সিরিয়াস ভাবে বলেন যে, বিচারক তখনই তাদের তালাক কার্যকরে আদেশ দেন।
এই ঘটনায় কুয়েতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই নারীটির প্রতি সহানভূতি দেখাচ্ছে। তারা বলছেন, নারীদের অবশ্যই স্বাধীনতা আছে তালাক দেয়ার। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘বিয়ের শুরুতেই বর যদি এমন আচরণ করে, তবে তাকে ছেড়ে যাওয়াই ভালো।
আরেকজন লিখেছেন, পারস্পারিক সম্মান ছাড়া বিয়ে হয়ে সেখানে একজনের অধিকার থাকেনা শুরু থেকেই। অবশ্য কেউ কেউ নারীটিকে উত্তেজিত মস্তিস্কের বলে আখ্যায়িত করেছেন। কেউ বলেছেন, ধৈর্য না থাকার কারণে এমনটি হয়েছে।
ঘটনা যাই হোক, এমন আজব বিয়ে ব্যাপক কৌতুহলে জন্ম দিয়েছে সবার মাঝে। অবশ্য বিয়ের পাত্র-পাত্রীর পরিচয় প্রকাশ করেনি কোন সংবাদমাধ্যম।