ভেনিজুয়েলাকে ১-৩ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের হয়ে গোল করেছেন লাউতারো মার্তিনেস, আনহেল কোরেয়া ও হোয়াকিন কোরেয়া। লিওনেল মেসি গোল না পেলেও বরাবরের মতো আধিপত্য বজায় রেখেছেন পুরো ম্যাচ।
ইউরোপীয় ফুটবলের ডামাডোলের ফাঁকে বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাইপর্বের তিন ম্যাচ খেলতে দক্ষিণ আমেরিকায় ফিরেছেন আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলাররা। প্রথম ম্যাচেই দলকে দারুণ এক জয় উপহার দিয়েছেন মেসি-দি মারিয়ারা।
বাছাইপর্বের তৃতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে ভেনিজুয়েলাকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে গোল করেছেন লাউতারো মার্তিনেস, আনহেল কোরেয়া ও হোয়াকিন কোরেয়া। লিওনেল মেসি গোল না পেলেও বরাবরের মতো নিয়ন্ত্রণ করেছেন পুরো ম্যাচ।
ভেনিজুয়েলার ঘরের মাঠে জার্সিতে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নের ব্যাজ লাগিয়ে নামে আর্জেন্টিনা। প্রায় পুরোটা সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখে চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৩২ মিনিটে স্বাগতিক দলের আদ্রিয়ান মার্তিনেস লাল কার্ড দেখলে এক ঘণ্টার মতো সময় ১০ জন নিয়ে খেলে ভেনিজুয়েলা।
ম্যাচের আধাঘণ্টার সময় লিওনেল মেসিকে বিপজ্জনক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আদ্রিয়ান। মেসি সাথে সাথে মাটিতে পড়ে যান। মেডিক্যাল টিম পর্যবেক্ষণের পর মাঠে ফেরেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। বাকি সময়ে একজন কম নিয়ে মেসিদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি ভেনিজুয়েলা।
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সফরকারীদের এগিয়ে দেন লাউতারো মার্তিনেস। ভেনিজুয়েলার বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান আনহেল দি মারিয়া। ফাউল হওয়ার আগে জিওভানি লো সেলসোকে পাস করেন তিনি।
ডি বক্সের বাইরে থাকা সেলসো ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে বল পৌঁছে দেন বক্সে দাঁড়ানো মার্তিনেসের কাছে। চমৎকার প্লেসিং শটে ব্যবধান ১-০ করে দেন ইন্টার মিলানের এ তারকা ফরোয়ার্ড। ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ায় আর্জেন্টিনা। দলের দ্বিতীয় গোলে অবদান ছিল মেসির। ৭১ মিনিটে তার পাস খুঁজে পায় বক্সে থাকা মার্তিনেসকে। মার্তিনেস নিজে শট না নিয়ে বল ছাড়েন হোয়াকিন কোরেয়ার উদ্দেশে।
জোরালো শটে দলের লিড দ্বিগুণ করেন এ ফরোয়ার্ড।
এর তিন মিনিট পরই ম্যাচ ভেনিজুয়েলার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। আবারও বক্সের সামান্য বাইরে বল পান মেসি। আনহেল কোরেয়াকে বল পাস করেন তিনি।
কোরেয়া দৌড়ে বক্সে ঢুকে পাস দেন মার্তিনেসকে। মার্তিনেসের শট ভেনিজুয়েলার গোলকিপার ঠেকিয়ে দিলে রিবাউন্ডে গোল করেন কাছে থাকা কোরেয়া। ৭৪ মিনিটে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
যখন মনে হচ্ছিল ক্লিন শিট রেখেই ম্যাচ শেষ করবেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস, তখনই ঘটে বিপত্তি। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্যে ভেনিজুয়েলাকে পেনাল্টি দেন রেফারি। ফাউলের শিকার হন জেফেরসন সোতেলদো।
স্পট থেকে ব্যবধান কমান সোতেলদো। দারুণ এক পানেঙ্কা গোল করার পর সোতেলদো ছুটে যান মেসির কাছে। মেসিও মৃদু হেসে প্রশংসা করেন তার গোলের। ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাব ফেলেনি এই গোল। ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই বুয়েনোস আইরেসে ফেরে আর্জেন্টিনা।
সোমবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হচ্ছে মেসির দল। আর শুক্রবার বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলে তারা শেষ করবে বাছাইয়ের তৃতীয় পর্ব।