এবার ময়মনসিংহের দুই নাগরিক করোনার টিকা নিবন্ধন করতে গিয়ে জানতে পারলেন তারা আর বেঁচে নেই। খবর নিয়ে জানা যায় ২০১৫ সাল থেকেই মোফাজ্জল হোসেন ও শিপন মিয়া নামের এই দুই বাংলাদেশীকে মৃত দেখাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের স্বল্পচরপাড়া গ্রামের জসিম উদিনের পুত্র মোফাজ্জল হোসেন ২০১৩ সালে ভোটার হন এবং উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর টানপাড়া মলামারী গ্রামের মৃত আবু সাঈদের পুত্র শিপন মিয়া ২০০৮ সালে ভোটার হয়ে তারা এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করে। এর পর দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের টিকা নিতে সুরক্ষা এ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়েই মূল ঘটনা ধরা পড়ে। রেজিস্ট্রেশন করার সময় নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে এই দুই ব্যক্তিকে মৃত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। বিষয়টি ধরা পড়লে নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানালেও এখনও তাদের জীবিত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তারা এখনও মৃত অবস্থায় থাকায় তারা কোনো নির্বাচনে ভোট দিতেও পারেননি। এছাড়া সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন, বিদ্যালয়ে ভর্তি, ভিজিএফ, ভিজিডি, করোনার টিকাসহ কোনো প্রকার সরকারি সুবিধা তারা পাননি।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০১৩ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করি। এরপর আর প্রয়োজন পড়েনি। চলতি বছরে করোনার টিকা নিবন্ধন করতে গিয়ে জানলাম আমি মারা গেছি। ফলে টিকা নিবন্ধন হয়নি।
অপর এক ভুক্তভোগী শিপন মিয়া বলেন, টিকার নিবন্ধন করতে গিয়ে জানতে পারি আমি মারা গেছি। পরে নির্বাচন অফিসে গিয়ে সংশোধনের আবেদন করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাহাবুবুল হক জানান, স্থানীয়ভাবে এ বিষয়ে কিছু করার নেই। অভিযোগ পাওয়ার পর কাগজপত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।