নতমুখ বাইডেনের, তবুও দিলেন প্রতিশোধের হুমকি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মাথা নিচু করে হতাশ হওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দনের বাইরে আত্মঘাতী হামলার পর একটি সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে বাইডেনকে এভাবে দেখা যায় বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তবে বৃহস্পতিবারের ওই সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য নতমুখেই বাইডেন ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দেন।

হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, এই হামলার সাথে যেই জড়িত থাকুক, জেনে রাখুন, আমরা ক্ষমা করব না। আমরা বিষয়টি ভুলেও যাবো না। আমরা আপনাদের খুঁজে বের করব। এর মূল্য আপনাদের মেটাতে হবে।

তবে এই মাসের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অটল রয়েছে বাইডেন প্রশাসন। বৃহস্পতিবারের হামলাকে দুই দশকের মধ্যে আফগানিস্তানে মার্কিনিদের জন্য সবচেয়ে খারাপ দিন হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বোমা হামলায় মার্কিন সেনা হতাহতের ঘটনায় তোপের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের অনেকেই বাইডেনের পদত্যাগ দাবি করেছেন। আবার অনেকেই তার অভিশংসন দাবি করেছেন। খবরে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বাইডেনের সমালোচনা করেছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বোমা হামলা হয়। এই হামলায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত দেড় শতাধিক।

হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১৩ সেনা নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার চলার মধ্যেই কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ায় বাইডেনের সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প। কাবুলে গতকালের রক্তক্ষয়ী হামলাকে ‘ট্র্যাজেডি’হিসেবে অভিহিত করেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, এ ধরনের বিয়োগান্ত ঘটনা কখনোই ঘটতে দেওয়া উচিত হয়নি। এতে তাদের মর্মপীড়া আরও গভীর হয়েছে। এই হামলা ঠেকানো উচিত ছিল।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প।

সমালোচনার জবাবে বাইডেন বলেন, ট্রাম্পের করা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে গিয়েই তাকে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

Share this post

scroll to top