ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডাক্তার মিলন ছাত্রাবাসের ২০৭ নম্বর কক্ষ থেকে চৌধুরী আরেফিন (৩০) নামের এ চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় লাশের পাশ থেকে সাত অ্যাম্পল ডায়াজিপাম জাতীয় ঘুমের ইনজেকশন এবং বেশকিছু সিগারেট উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) নাইট ডিউটি করার পর সকালে ছাত্রাবাসের ২০৭ নম্বর কক্ষে এসে দরজা আটকে ঘুমিয়ে পড়েন আরেফিন। এরপর থেকে রুমের দরজা না খোলায় এবং কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা এসে দরজা ভেঙে দেখতে পান, বিছানায় লাশ পড়ে আছে। পারিবারিক সমস্যার কারণে অতিরিক্ত ঘুমের ইনজেকশন নেওয়ার ফলে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পরই বিস্তারিত বলা যাবে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, নিহত চৌধুরী আরেফিনের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায়। যশোর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে সে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করছেন। তার পিতার নাম চৌধুরী মোস্তফা আলী। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে চৌধুরী আরেফিনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ছুটে আসি। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছেন বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। তবে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।