ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মিনাস গেরেইস রাজ্যে খনির একটি বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৭ জনে। দুর্ঘটনায় ১৮২ জন নিখোঁজ রয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
২৫ জানুয়ারি ব্রুমাদিনহো শহরে বাঁধটি ভেঙ্গে পড়ার পর কর্দমাক্ত খনির বর্জ্যরে নিচে বহু লোক চাপা পড়ে আছে। দুই সপ্তাহ ধরে তল্লাশি চালিয়ে ও যাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি ধারণা করা হচ্ছে তারাও ধ্বংস স্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। তাদের আর জীবিত থাকার কোন সম্ভাবনা নেই। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
সম্প্রতি উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে ওই এলাকায় হেলিকপ্টারযোগে তল্লাশি চালায়।
বাঁধ ভেঙ্গে আকরিক লোহার খনিটিতে কর্মরত বহু মানুষ নিহত অথবা নিখোঁজ হয়েছে।
আরো পড়ুন: ব্রাজিলে ফুটবল ক্লাবে আগুন: নিহত ১০
বিবিসি (০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩০)
ব্রাজিলের শীর্ষস্থানীয় ও জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব ফ্লামেঙ্গ’র স্পোর্টস কমপ্লেক্স ভবনে আগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। বন্দর নগরী রিও ডি জেনিরো বিশ্বখ্যাত এই ক্লাবটির ওই ভবটিন মূলত প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি। অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছে আরো কয়েকজন। স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, নিহদের সবাই তরুণ ফুটবলার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যারা ওই অ্যাকাডেমির ছাত্র ছিলেন। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
রিও ডি জেনিরোর পশ্চিমে ভারগেম গ্রান্দে অবস্থিত ফ্লামেঙ্গোর স্পোর্টস কমপ্লেক্স। এখানে মূলত একাডেমির খেলোয়াড়েরাই থাকে। ১৪ থেকে ১৭ বছরের কিশোর ফুটবলারদের আবাসস্থল এটা। এখানে শুক্রবার ভোররাতে আগুন লাগে। পুলিশ জানিয়েছে, ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে।
ফ্লামেঙ্গে ব্রাজিলের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব, ক্লাবটিতে খেলে বিশ্বতারকা হয়েছেন এমন ফুবলারে সংখ্যা অনেক। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা রোমারিও, রোনালদিনহো, বেবেতো এই ক্লাব থেকেই উঠে এসেছেন। ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলে সবচেয়ে সফল ক্লাবও এটি।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে এই স্পোর্টস সেন্টারটি মাত্র ২ মাস আগে সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
লাশটি সালারই
অবশেষে পাওয়া গেছে ফুটবলার সালার লাশ। দুই সপ্তাহ আগে নতুন ক্লাব কার্ডিফে যোগ দিতে ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ডের প্লেন ধরেছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার এমিলিয়ানো সালা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটির আর গন্তব্যে পৌঁছা হয়নি। ইংলিশ চ্যানেলেই বিধ্বস্ত হয় সেটি।
অবশ্য সাথে সাথেই সালাকে বহনকারী প্লেনটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার ইংলিশ চ্যানেলে সেই সালাকে বহনকারী সেই প্লেনটির খোঁজ মেলে। সেখান থেকে একটি লাশও উদ্ধার করা হয়। তবে সেটি সালা’র লাশ না প্লেনটির পাইলটের লাশ তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। তবে পরীক্ষানিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে সেটি আর্জেন্টাইন ফুটবলার এমিলিয়ানো সালা’রই লাশ।
১৭ মিলিয়ন ইউরোতে ফ্রেঞ্চ ক্লাব নঁতে থেকে কার্ডিফ সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন সালা। এ নিয়ে বেজায় খুশি ছিলেন কার্ডিফ সমর্থকেরাও। ২১ জানুয়ারি ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ডের পথে এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট পাইপার ম্যালিবু প্লেনে চড়েন সালা। খারাপ আবহাওয়ার কারণে মাঝপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর সেটি বিধ্বস্ত হয় ইংলিশ চ্যানেলে। এরপর থেকেই চলছিল উদ্ধারকাজ। তিনদিন ব্যাপক খোঁজাখুঁজির পর তাকে উদ্ধারের আশা ছেড়ে দেয় কোস্টগার্ড ও পুলিশ। কিন্তু তার ভক্ত ও সতীর্থরা এত সহজেই হার মানতে নারাজ ছিলেন। ফলে সবাই মিলে অর্থ দিয়ে হলেও তার লাশ খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার ইংলিশ চ্যানেলে বিধ্বস্ত প্লেন ও তার লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।
ওয়েলসের ক্লাব কার্ডিফ সিটি তাদের পূর্ব রেকর্ড ভেঙে ১৭ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে ফরাসি ক্লাব নঁতে থেকে ২৮ বছর বয়সী এ আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে দলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তিন ধাপে সেই অর্থ পরিশোধ করার কথা ছিল কার্ডিফের।