নেত্রকোনায় পরকীয়া সম্পর্কের কারণে বিয়ের জন্য সুভাষ মিয়াকে চাপ দিচ্ছিলেন প্রবাসীর স্ত্রী শরিফা আক্তার। কিন্তু সুভাষ বিবাহিত ও সন্তান থাকায় এতে রাজি হননি।
শুক্রবার রাত পৌনে ৪টার দিকে সিঁধ কেটে শরিফার ঘরে ঢুকেন সুভাষ। ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে সেই প্রমাণ নষ্ট করতে শরিফার মোবাইলটি নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন। শেষে ছাইসহ অবশিষ্ট অংশ বাড়ির পাশের সাইঢুলি নদীতে ফেলে দেন। গলাকাটার কাজে ব্যবহৃত ছুরিটি গোবরের স্তূপে পুঁতে রাখেন।
এভাবেই হত্যার ঘটনা আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে দিয়েছেন সুভাষ মিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সালমার আদালতে এ জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিকালে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন- পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) একেএম মনিরুল ইসলাম, নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ।
সুভাষ মিয়া (৩২) সদর উপজেলার কাংসা গ্রামের অধিবাসী। নিহত শরিফা আক্তার সদর সাজিউড়া গ্রামের রিপন মিয়ার স্ত্রী। শরিফা দীর্ঘদিন ধরে তার এক মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি কাংসা গ্রামে বসবাস করছিলেন। স্বামী রিপন মিয়া গত তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।