করোনামহামারীর কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে দেশের শিক্ষাকার্যক্রম। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষাও স্থগিত রয়েছে। পরীক্ষায় বসতে না পারা শিক্ষার্থীদের সেশনজটের আশংকা বাড়ছে দিন দিন। এতে বিরাট ক্ষতির সম্মুখে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
গত ১৩ই জুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা শুরু হলেও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকার কারনে বাড়ি ফিরে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। এরপর অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানায় তারা তবে অনলাইনে পরীক্ষা কতোটা ফলফ্রুস হবে এ নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে অনেকের মাঝে।
এ বিষয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকি৷ ২ জি নেটওয়ার্কে যেখানে ভয়েস কলে কথা বলতেই হিমশিম খাই সেখানে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়া তো বিলাসিতা। আমার মতো অনেক শিক্ষার্থীই গ্রামে বসবাস করে। অনলাইন পরীক্ষা নিলে তাদের সঠিকভাবে অংশ নেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। আমরা সশরীরে পরীক্ষা চাই এবং খুব দ্রুতই যেন পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রশাসন।’
অনলাইন পরীক্ষা গ্রহণে পরামর্শ বিষয়ক কারিগরি কমিটির সভাপতি ও সি এস ই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং শিক্ষার্থীদের ডিভাইস সংক্রান্ত কোনো সমস্যা না থাকলে খুব দ্রুতই অনলাইন পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব।’
এদিকে মানব সম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানায় আগামী ১লা সেপ্টেম্বর যদি পরীক্ষা শুরুর তারিখ ঘোষণা না করা হয় তাহলে পরীক্ষা শুরুর দাবীতে ০৩ সেপ্টেম্বর সশরীরে আন্দোলনে নামবে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এইচ এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অনলাইন বা অফলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদী। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে যেন পরীক্ষাগুলো নিতে পারি তাই সকল শিক্ষক – শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’