ময়মনসিংহে অপপ্রচারের দায়ে উৎপল করসহ ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা

ময়মনসিংহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার ও হুমকির দায়ে বিতর্কিত ব্যক্তি উৎপল করসহ আরও ৩জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন জেলা মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপ্না খন্দকার। এছাড়াও ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে উৎপল করের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

অভিযোগে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেত্রীকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার শুরু  করেন উৎপল করসহ জসিদা খাতুন কোহিনূর ও সঞ্জিব ইসলাম নামের ব্যক্তিরা। অভিযুক্ত তিনজনই স্বপ্না খন্দকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য লুৎফুন্নাহার লাকীর সাথে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছবি ভিন্ন উদ্দেশ্যে অনুমতি না নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। আর এসব ছবির সাথে যুক্ত করা হয় মনগড়া ও মানহানীকর তথ্য। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য লুৎফুন্নাহার লাকী সংবাদ সম্মেলন করার পরই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিকদের ট্রল করে আবারও একটি স্ট্যাটাস দিন। স্ট্যাটাসে লিখেন “আপনার হয়তো জানা নাই যে –শীর্ষস্থানীয় মুটামুটি সবগুলো জাতীয় দৈনিকেরই মুটামুটি শীর্ষ পদধারীরা আমার নিয়ারেষ্ট বন্ধু বা কাছের কেউ। আপনি আজ ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে গলা ফাটাইলেন।” এমন হুমকি ধামকির পরই কোতোয়ালি মডেল থানায় শনিবার মামলা করেন স্বপ্না খন্দকার। যার নং- ৯১ (২১/০৮/২০২১)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা, সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে জেলা মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপ্না খন্দকার ও তাঁর বোন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য লুৎফুন্নাহার লাকীর ছবি এডিট করে অসৎ উদ্দেশ্যে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য নিজেদের ফেসবুক আইডিতে আপলোড করেন।

অনুসন্ধানে জানাযায়, উৎপল কর এর আগেও দেশের আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের উদ্দেশ্যে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্টীকে হেয় করে বিভিন্ন ধরণের পোস্ট করে। শুধু তাই নয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়েও অপপ্রচার করে। বিতর্তি উৎপল কর নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে প্রমাণ করতে বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রীদের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।

Share this post