বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক জাদরেল কোচ যখন বিপিএলে উপস্থিত, ঠিক তাদের মাঝে আমাদের দেশি কোচদের সফলতা অবশ্যই অনেকের কাছে ঈর্ষণীয়। তেমনই দুই দেশি কোচ সালাউদ্দিন ও খালেদ মাহমুদ সুজন।
বিশ্ব ক্রিকেটে অনেক খেলোয়াড়, অধিনায়ক যথেষ্ট অবদান রেখেছেন ক্রিকেটাঙ্গনে। তারা খেলোয়াড় হিসেবে যেমন সফল ছিলেন, তেমনি অধিনায়ক হিসেবেও। এরই ধারাবাহিকতায় খেলায় অবসর নিয়ে তাদের অনেকে হয়েছেন কোচ। কোচ হিসেবেও তাদের সফলতার ঝুড়ি অনেক ভারী। তা আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া ক্রিকেট সবখানেই।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সালাউদ্দিন ও খালেদ মাহমুদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা পুরনো। কোচ হিসেবে দলকে দ্বিতীয়বার শিরোপা এনে দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন কুমিল্লার সালাউদ্দিন ও ঢাকার খালেদ মাহমুদ। আগের আসরে রংপুর রাইডার্সকে শিরোপা জেতানো টম মুডির ওপর এবারও আস্থা রেখেছিল দলটি।
আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচ হিসেবে শিরোপা জিতেছেন তিনি। খুলনা টাইটানসের কোচ ছিলেন শ্রীলংকান কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কোচ তিনি।
সিলেট সিক্সার্স আস্থা রেখেছিল সাবেক পাকিস্তান পেসার ওয়াকার ইউনুসের ওপর। রাজশাহী কিংস কোচ করে আনে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক খেলোয়াড় ল্যান্স ক্লুজনারকে। চিটাগং ভাইকিংসের কোচ ছিলেন সাইমন হেলমট।
বাংলাদেশ হাইপারফরম্যান্স দলেরও কোচ তিনি। বিগ ব্যাশে রেনেগেটসের কোচেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। নামকরা সব কোচকে ছাপিয়ে শেষ হাসি হাসবেন একজন দেশি কোচ। খালেদ মাহমুদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করতে রাজি নন সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘দেশি কোচদের সাফল্য পাওয়াটা অনেক ভালো। বিপিএলে দেশি কোচরা হারিয়ে যাচ্ছিল। সহকারী কোচ যারা, তাদেরও কাজের পরিধি কমে আসছিল। যেহেতু আমরা দুজন ফাইনালিস্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়তো পরবর্তীতে চিন্তা করবে আমাদের দেশি কোচদের আরেকটু সুযোগ দিতে। আমরা ভালো করলে দেশি কোচদের লাভ।’
সালাউদ্দিন বলেন, ‘জাতীয় দলের বিষয়টি আলাদা। সেখানে অনেক চাপ থাকে। বয়সভিত্তিক দলে, বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-১৯, ১৭ বা ‘এ’ দলে স্থানীয় কোচ থাকা উচিত। স্থানীয়রা পারবে না বলে অমূলক ধারণা রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের এমন সব কোচের মাঝে বাংলাদেশের দুই কোচের ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করাটা দেশের ক্রিকেটাঙ্গনকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করা যায়।