২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে হাজারীবাগ থেকে আরিফুর রহমান রঞ্জু (৪২) নামের ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হাফিজ আক্তার জানান, আরিফুর কলারোয়া সরকারি কলেজে ছাত্রদলের নেতা ছিল। সে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। শুক্রবার রাতে হাজারীবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখে মাগুরায় ফিরে যাচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কলারোয়ায় পৌঁছতেই সড়কে একটি বাস আড় করে দিয়ে তার পথরোধ করা হয়।
এ সময় জটলার সৃষ্টি হলে সেই সুযোগে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা গুলি ছুড়ে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করে। শেখ হাসিনার ব্যবহৃত গাড়ি ভাংচুর করা হয়। তার গাড়ির পতাকার স্ট্যান্ড ভেঙে ফেলা হয়। হামলাকারীরা ইটপাটকেল ও জুতা স্যান্ডেল ছুড়ে সহিংসতার সৃষ্টি করে।
এতে শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার সফরসঙ্গী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফাতেমা জামান সাথী, আব্দুল মতিন, জোবায়দুল হক রাসেল এবং শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। একই সময় সাতক্ষীরার বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও হামলার শিকার হন।
এ ঘটনায় কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেম উদ্দিন ২৭ জনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা করেন। কিন্তু থানায় রেকর্ড না হওয়ায় তিনি নালিশি আদালত সাতক্ষীরায় মামলাটি করেন। পরবর্তীতে এ মামলা খারিজ হয়ে গেলে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে ফের মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সফিকুর রহমান সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।