ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্বে প্রথমবারের মতো করোনার বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবহারের জন্য ডিএনএ টিকার অনুমোদন দিলো।
বিবিসিসহ একাধিক গণমাধ্যম জানায়, জাইডাস ক্যাডিলার তিন ডোজের করোনা টিকার জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া তথা ডিসিজিআই।
প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ১২ বছরের ঊর্ধ্বে শিশুদের ওপরেও এই টিকা ব্যবহার করা যাবে। এই নিয়ে ভারতে করোনার ষষ্ঠ ভ্যাকসিন অনুমোদন পেল।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, জাইকোভ-ডি নামে এই টিকার ১০ থেকে ১২ কোটি ডোজ বছরে ভারতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন উৎপাদন করে মজুত শুরু করেছে সংস্থা।
এর আগে ডিএনএ টিকা প্রাণীদের ওপর কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে মানুষের ওপর প্রয়োগ হয়নি।
ভারত এখন পর্যন্ত কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন ও স্পুতনিক ভি’র ৫৭ কোটি ডোজ টিকাদান সম্পন্ন করেছে।
গত ১ জুলাই জাইকোভ-ডি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল জেনেরিক ওষুধ নির্মাতা সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলা। ভারত জুড়ে প্রায় ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপরে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রয়োগের পর এই টিকার ৬৬.৬ শতাংশ কার্যকরিতা প্রমাণিত হয়েছে।
জাইকোভ-ডি করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের প্রথম প্লাজমিড ডিএনএ টিকা। করোনাভাইরাসের জিনগত উপাদান ব্যবহার করেই রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রোটিন তৈরির জন্য শরীরের ডিএনএ বা আরএনএ-কে নির্দেশ দেয় এই ভ্যাকসিন।
এই ভ্যাকসিন ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টসহ করোনার নতুন মিউট্যান্টগুলোকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে বলেও দাবি করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এমনকি প্রথাগত সিরিঞ্জের বদলে সুঁচবিহীন সিরিঞ্জ দিয়েও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা সম্ভব।
জাইডাস ক্যাডিলার ভারত সরকারের বায়োটেকনোলজি বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে টিকাটি। কোভ্যাক্সিনের পর এটিই ভারতে তৈরি করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন।