গত মার্চে বিশালাকারের কনটেইনার জাহাজ এভারগ্রিন আড়াআড়িভাবে আটকে যায় মিসরের সুয়েজ খালে। এ দুর্ঘটনায় বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যপথের কার্যক্রম থেমে থাকে কয়েক দিন।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, তিন মাস পর আবারও বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কনটেইনারবাহী জাহাজটি একই পথ অতিক্রম করেছে।
সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ এসসিএ জানায়, ভূমধ্যসাগর থেকে লোলিত সাগরের দিকে গেছে এভারগ্রিন। ইউরোপে কার্গো খালাস করে জাহাজটি এশিয়ার পথ ধরে।
এভারগ্রিন সুয়েজ খালে আটকে গেলে ছয় দিন বাণিজ্য ব্যাহত। এ সময় উদ্ধার অভিযানে এক ব্যক্তি মারা যায়।
মার্চে ঝোড়ো হাওয়া ও বালি ঝড়ের কবলে পড়ে জাহাজটি দিক হারিয়ে ফেলে।
পরে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিয়ে ঈসমাইলিয়া শহরের নিকটবর্তী জলপথ থেকে নোঙর তোলে এভারগ্রিন।
এসসিএ একসারি টুইটে জানায়, ১৯৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালে এভারগ্রিনকে পথ নির্দেশ করে দুটি টাগ বোট ও এসসিএ’র একজন সিনিয়র গাইড।
উত্তর থেকে দক্ষিণে শুক্রবার সুয়েজ খাল অতিক্রম করা ২৬টি জাহাজের একটি ছিল এভারগ্রিন। অন্যদিক থেকে এসেছে ৩৬টি জাহাজ।
এ সব তথ্যের সঙ্গে এসসিএ যোগ করে, সুয়েজ খাল পূর্বের সঙ্গে পশ্চিমের সংযোগের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও দ্রুততর রুট।
৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এভারগ্রিন রটেরডাম, ফেলিক্সটো ও হামবুর্গে ১৮ হাজার ৩০০ কনটেইনার নামিয়ে দিয়ে এসেছে। বর্তমানে রয়েছে চীনের পথে।
উদ্ধার ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫৫ কোটি ডলার চেয়েছিল সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ। তবে এভারগ্রিন কত টাকায় ছাড়া পায় সে তথ্য প্রকাশ হয়নি।