জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়ে এমবিবিএস পাস করেন ডা. দিলারা, আইনি নোটিশ

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ ওঠায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ডা. দিলারা বেগমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য সচিব, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ নোটিশ দেওয়া হয়।

নোয়াখালী সদরের মোহাম্মদ ইকবাল মাহমুদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস বৃহস্পতিবার এ নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশ পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, ডা. দিলারা বেগমের ভর্তি জালিয়াতি নিয়ে গত ২০ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি দুটি জাতীয় দৈনিকে ‘মেডিকেলে ভর্তি জালিয়াতি ধরা পড়ল দুই যুগ পর’ এবং ‘এমবিবিএস ভর্তিতে জালিয়াতি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব সংবাদ থেকে জানা গেছে, দিলারা বেগম বিগত ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে চিকিৎসা শিক্ষা শুরু করেন। যদিও পরে এমবিবিএস পাশ করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। এই জালিয়াতিতে তিনি একাধিক ঠিকানা ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করেন। এ কাজে অধিদপ্তরের তৎকালীন কর্মচারীরা জড়িত ছিলেন। অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।

পত্রিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তৎকালীন সময়ে পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) ছিলেন অধ্যাপক ডা. শাহ মুনির হোসেন। ওই সময় তার দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারীর মাধ্যমে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। সোলায়মান নামের এক অফিস সহকারী এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তার পদ অফিস সহকারী হলেও তিনি হিসাবরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তবে বর্তমানে তিনি এ পদে বা অধিদপ্তরে কর্মরত নেই।’

Share this post

scroll to top