‘আ.লীগ নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও’

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু বলেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও মুনিবুর রহমান। এতে প্যানেল মেয়র-২ রফিকুল ইসলাম খোকনের শরীরে ৪০ থেকে ৪৫টি ছিদ্র হয়। এ সময় আহত হন অন্তত ৬০ জন। মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সেখানে উপস্থিত হওয়ার পরও তারা মুহুর্মুহু গুলি ছোড়ে। পরে অতি উৎসাহী বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আবারো হামলা চালায়।

বৃহস্পতিবার বিকালে বরিশাল নগরীর কালীবাড়ি রোডের সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তবে মেয়র সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত হননি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্য নেতারা বলেন, বরিশালের সদর উপজেলা ইউএনওর বাসায় কোনো হামলা হয়নি। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবেই সদর উপজেলা চত্বরে ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করছিলেন নগর ভবনের কর্মীরা। ইউএনও মুনিবুর রহমান ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সিটি মেয়রের সঙ্গে বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করেছেন। ইউএনওর নির্দেশে নিরাপত্তাকর্মীরা ৬০ জনের বেশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও নগর ভবনের কর্মীদের গুলিবিদ্ধ করেছে। অথচ সেখানে গুলি ছোড়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি বলে দাবি আওয়ামী লীগ নেতাদের।

জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারাও এসব অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্য পাঠকালে গাজী নইমুল হোসেন লিটু বলেন, হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি হওয়া নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। কী কারণে এমনটা হচ্ছে? বরিশালে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত বলেই এমনটা হচ্ছে। এটা চক্রান্ত।

ইউএনও মুনিবুর রহমানকে প্রত্যাহারসহ আটককৃত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের কথা জানান বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস। আর ইউএনওকে একজন মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুখ হোসেনসহ বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

scroll to top