বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, এই শাসকগোষ্ঠি ১৯৭১ সালের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। তারা দেশবাসীকে বুঝাতে চায় যে, একটা ভাষণ দিয়েছে তাদের নেতা এতেই দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। এই যে লক্ষ মানুষ জীবন দিল, একটি আধুনিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন পণ করে বিজয় ছিনিয়ে নিল এই কৃতিত্ব কাউকে দিতে চায় না তারা।
তিনি বলেন, সর্বশেষে তারা শুরু করেছে যে, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তারা ভেবেছে যে, ৫০ বছরের কাছাকাছি গত হয়েছে। সুতরাং এখন এই ধরনের মিথ্যাকে সত্য করার সময় এসে গেছে। মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে গোয়েবেলসীয় কায়দায় জিয়াকে একটা হত্যাকারী ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে জনগণের সামনে প্রতিপাদ করার জন্যে তারা এই উদ্যোগ নিয়েছে।
হাফিজ বলেন, জিয়াউর রহমান একজন সৈনিক ছিলেন- যিনি সংবিধান সম্মুন্নত রাখার চেষ্টা করেছিলেন। আমাদেরকে বলেছিলেন, গো অ্যান্ড গেট ট্রুপস রেডি। তাদের (আওয়ামী লীগ) নেতাকে (শেখ মুজিবুর রহমান) মহান নেতা বলে সম্বোধন করেছিলেন। জীবনে কোনোদিন রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে কখনো আওয়ামী লীগের নেতা বা তাদের যারা শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনোদিন কোনো কটূক্তি করেননি। এই ধরনের একজন সাদা মনের মানুষকে আজকে তারা খুনি হিসেবে দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করতে চায়। কী দুর্ভাগ্য তাদের, কী দুর্ভাগ্য আমাদের।
মেজর হাফিজ বলেন, আমি বলব- এখনো সময় আছে শিক্ষা নেওয়ার। আফগানিস্তানে কী হয়েছে- এটা থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেককে কিন্তু হেলিকপ্টারের ডানা ধরে ঝুলতে হবে। আফগানিস্তান থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারছি যে, জনগণের জয় একদিন না একদিন হবেই। দেশের অধিকাংশ জনগণ যাকে সমর্থন করবে, যে দল বা যে আদর্শকে সমর্থন করবে এটিকে কোনোদিন দাবিয়ে রাখা যায় না। যার জন্যে পৃথিবী সবচেয়ে সর্বশক্তিমান পরাশক্তিকেও (যুক্তরাষ্ট্র) আফগানিস্তান থেকে যেতে হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।