মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটালে এবং নারীসহ সবার মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখালেই কেবল তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
মঙ্গলবার ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে জোটের এ অবস্থান তুলে ধরেন। খবর রয়টার্সের।
তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দ্রুত পতনের প্রেক্ষাপটে জরুরি বৈঠকে বসেন ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
বৈঠক শেষে বিবৃতি জোসেপ বোরেল বলেন, আমরা তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছি— এ ধরনের কথা বলিনি। তবে আমাদের অবশ্যই তাদের সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত, এমনকি নারীদের রক্ষার চেষ্টা করা উচিত আর এ জন্যই তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ করা উচিত।
কাবুল দখলের পর তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তালেবান জানিয়েছে— তারা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায় এবং ইসলামি আইনের মধ্যে থেকে তারা নারীর অধিকারের প্রতি সম্মান জানাবে।
তাদের এ ঘোষণায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা না থাকলেও এবারের সুরটি ২০ বছর আগেকার তাদের শাসনের সময়ের চেয়ে নরম।
বোরেল জানান, ইইউর অগ্রাধিকার হচ্ছে— কাবুল থেকে ইইউর কর্মী এবং আফগান সহায়তাকারীদের প্রত্যাহার করা।
ইইউর সঙ্গে স্থানীয় যারা কাজ করছিলেন, আত্ম-পরিজনসহ তাদের সংখ্যা প্রায় ৪০০। এদের গ্রহণের জন্য কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের এলাকা ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছে স্পেন। সেখান থেকে তাদের ইইউর অন্যান্য দেশে পাঠানো হবে বলেও জানান বোরেল।
তিনি জানান, আফগানদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে, এমনকি বাড়ানোও হতে পারে। তবে আফগান সরকারের কাছে তখনই সাহায্য পাঠানো হবে, যখন শর্তগুলো পূরণ করা হবে।
২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের পর তালেবানের কাবুল দখলই সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক ঘটনা।